যিলক্বদ ১৪৩৪   ||   সেপ্টেম্বর ২০১৩

একটি ভুল ধারণা

 দুআয়ে মাছূরা কি শুধু আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ...

নামাযের শেষ বৈঠকে দরূদ শরীফের পর দুআয়ে মাছূরা পড়তে হয়। এখানে কোন একটি মাসনূন দুআ পড়লেই হয়। একাধিক দুআও পড়া যায়। হাদীস শরীফে এসেছে-

ثم يتخير من المسألة ما شاء

(অর্থ) অতঃপর (দরূদ পাঠের পর) যে দুআ ইচ্ছা পড়বে। (সহীহ মুসলিম,হাদীস : ৪০২)

এক্ষেত্রে বেশি প্রসিদ্ধ হল, আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী... এই দুআটি। ফলে অনেকেই মনে করেন দুআ মাছূরা শুধু এটিই। এটি ছাড়া এক্ষেত্রে অন্য কোন দুআ পড়লে হবে না। আসলে বিষয়টি তা নয়। বরং এক্ষেত্রে কুরআন-হাদীসের যে কোন দুআই পড়া যায় এবং কুরআন-হাদীসের যে কোন দুআর মাধ্যমেই এ সুন্নত আদায় হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, দুআয়ে মাছূর (বহুবচনে আদইয়ায়ে মাছূরা) শব্দের অর্থ বর্ণিত দুআ। অর্থাৎ আলকুরআনুল কারীম ও হাদীস শরীফে যেসব দুআর তালীম দেয়া হয়েছে।

হাদীস শরীফে এক্ষেত্রে পড়ার আরো দুআ বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্য থেকে একটি হল,

اللهم إني أعوذ بك من عذاب القبر وأعوذ بك من فتنة المسيح الدجال وأعوذ بك من فتنة المحيا والممات، اللهم إني أعوذ بك من المأثم والمغرم

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, দাজ্জালের ফিৎনা থেকে। আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিৎন থেকে। হে আল্লাহ ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি গুনাহ ও ঋণ থেকে। (সহীহ বুখারী,হাদীস: ৮৩২; সহীহ মুসলিম,হাদীস: ৫৮৯)

আর আমাদের মাঝে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ যে দুআ তা আবু বকর রা.-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে শিখিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু বকর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আবেদন করলেন-আমাকে একটি দুআ শিখিয়ে দিন, যা আমি নামাযে পড়ব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই দুআ কর-

اللهم إني ظلمت نفسي ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب إلا أنت فاغفرلي مغفرة من عندك وارحمني إنك أنت الغفور الرحيم

 

অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহ মাফকারী আর কেউ নেই। আপনি নিজ অনুগ্রহে আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিঃসন্দেহে আপনিই ক্ষমাকারী, করুণাময়।

(সহীহ বুখারী,হাদীস: ৮৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৭০৫)

 

 

advertisement