মুহাররম ১৪৩১   ||   জানুয়ারী ২০১০

একটি উদাসীনতা: হিজরী বর্ষ ও চান্দ্রমাসের তারিখ ব্যবহারে উদাসীনতা

এ প্রসঙ্গে আলকাউসারে একাধিকবার লেখা হয়েছে। দুঃখের বিষয় এই যে, আজকাল দ্বীনদারদের মধ্যেও এ বিষয়ে ব্যাপক উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। কাউকে তারিখ জিজ্ঞাসা করলেই নিঃসঙ্কোচে ও কোনো ভূমিকা ছাড়াই ইংরেজি ক্যালেণ্ডারের তারিখ বলে থাকেন। যেন এটাই একমাত্র ক্যালেণ্ডার। কোনো চিঠি বা লেখায় তারিখ লিখতে হলে ইংরেজি তারিখ লেখা হয়, কোনো ঘটনার তারিখ বলতে হলেও তা-ই বলা হয়, এমনকি অধিকাংশ তালিবে ইলম তাদের শিক্ষাজীবনের তারিখও যদি মনে রাখে তাহলে ইংরেজি ক্যালেণ্ডারের হিসাবেই মনে রাখে। গত বছর মদীনা মুনাওয়ারায় শায়খ মুহাম্মাদ আওয়ামা (হাফিযাহুল্লাহ্‌)-এর এক প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্র তারিখের পর ইংরেজি তারিখ উল্লেখ করেছিলাম। তিনি তখন বলেছিলেন,

(আরবী)

এই ক্যালেণ্ডারের সঙ্গে তো আমাদের পরিচয় নেই। পক্ষান্তরে অন্য এক ব্যক্তির কোনো প্রশ্নের উত্তরে আমি যখন চন্দ্র তারিখ বলেছি তখন তিনি কিছুটা বিরক্তির সঙ্গে বললেন, ইংরেজি তারিখ বলুন! কোনো সন্দেহ নেই যে, হিজরী সন-তারিখ ব্যবহারের বিষয়ে এই উদাসীনতা এখন আর সাধারণ মানুষের ভুল-ত্রুটির মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন (খাওয়াছের) বিশিষ্ট-ব্যক্তিদের মাঝেও সংক্রমিত হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এই উদাসীনতা বাহ্যত ছোট মনে হলেও তা অনেক বড় কিছু বিষয়ের ফলাফল। তদ্রূপ এর পরিণতিও অত্যন্ত মারাত্মক। আল্লাহ তাআলা আমাদের হেফাযত করুন। আমীন।

 

advertisement