মুহাররম ১৪৩১   ||   জানুয়ারী ২০১০

প্রণীত শিক্ষানীতি ২০০৯: কথা তো শেষ হওয়ার নয়

অধ্যাপক ড. হাফেয এবিএম হিজবুল্লাহ

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ (চূড়ান- খসড়া) প্রকাশিত হয়েছে। বেশ আগে। বলা হয়েছে জানুয়ারি ২০১০ থেকে তার বাস-বায়ন শুরু হয়ে যাবে। এই নীতির শুরুতে নেই বিসমিল্লাহ, নেই আলহামদুলিল্লাহ। অথচ হাদীস থেকে জানা যায়, যে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর নাম ছাড়া শুরু করা হয় তা হয় লেজ কাটা, অপূর্ণ ও বরকতহীন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, জামউল জাওয়ামি’, আলআযকার) আর কিছু না হোক বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশের জনগণের বিশ্বাসের প্রতি খেয়াল রেখে বিসমিল্লাহ দিয়ে এ কাজ শুরু করতে পারতেন প্রণেতারা।

বুঝতে কষ্ট হচ্ছে কোন সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী এ শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে। বর্তমান সংবিধানে তো সেক্যুলারিজম তথা ধর্ম-নিরপেক্ষতার কথা নেই। সেখানে তো রয়েছে বিসমিল্লাহ ও আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস ও আস্থার কথা। এতে বুঝা যায় তারা বর্তমান সংবিধান মানেন না। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করা যায় কি না-এটা অবশ্যই ভাববার বিষয় হতে পারে।

বলা হয়েছে, শিক্ষানীতি ২০০৯ প্রণয়নে ব্যাপক মতামত গ্রহণ ভিত্তিক করার উদ্দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫৬টি সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বিস্তারিত মত বিনিময় করা হয়েছে। এছাড়া অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছ থেকে লিখিত মতামতও কমিটি লাভ করে। আমার প্রশ্ন, ৫৬টি সংস্থা ও সংগঠনগুলো কাদের? নিশ্চয় তারা সবাই প্রণেতাদেরই ভাবধারার? তালিকা দিলে বুঝা যেত তাদের পরিচয়। ‘অনেক ব্যক্তিবর্গের’ কথা বলা হয়েছে। সংখ্যায় তারা কতজন? প্রশ্নমালা আদৌ ছিল কি না? থাকলে কী কী প্রশ্ন ছিল তাতে? উত্তরদাতাদের কত শতাংশ কেমন উত্তর দিয়েছেন? এ বিষয়গুলো রিপোর্টে থাকলে ভালো হত। ড. কুদরত-ই-খোদা কমিশন এ কাজটি করেছিলেন বলে জানা যায়। এ শিক্ষা কমিশন নব্বইটি প্রশ্ন সম্বলিত একটি প্রশ্নমালা, শিক্ষা প্রশাসক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ছাত্র, জাতীয় পরিষদ সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে প্রেরণ করেন। প্রশ্নমালা পাঠানো হয় ৯৫৫১ জনের কাছে।

শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বর্ণনা করা হয়েছে তেইশটি। এখানে হ্রাস-বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। দু’ নম্বর ধারায় নৈতিক শব্দের পূর্বে ধর্মীয় শব্দটি বৃদ্ধি করলে বাংলাদেশের জাতীয় স্বকীয়তার প্রতিফলন ঘটত। তাছাড়া নীতি-নৈতিকতার মূল উৎস ও ভিত্তিই হল ধর্ম। ধর্মীয় অনুভূতি ব্যতিরেকে কোনো নৈতিকতাই স্থায়ী ও মজুবত হতে পারে না। তিন নম্বর ধারায় ব্র্যাকেটে সুনাগরিকের গুণাবলির যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে তাতে ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবোধ’ এর পরিবর্তে ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ’ হলে চমৎকার হত। কারণ কোনো ধর্মাবলম্বীর কাছেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবোধ’ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ‘মানবাধিকার’ শব্দটি আকর্ষণীয়। তবে এর পিছনে রয়ে গেছে বন্য সমাজের অনেক উপাদান। কারণ অনেক অবৈধ-অনৈতিক কর্মও মানবাধিকার শব্দের মারপ্যাঁচে বৈধ ও নৈতিক হয়ে যায়। শব্দটির পরে ব্র্যাকেটে ‘অবৈধ ও নৈতিকতাবিরোধী নয়’ সংযোজন করা যেতে পারত। আমাদের দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর সুপারিশ একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তবে এ স্তরে মুসলিম ছাত্রদের জন্য অক্ষর-জ্ঞানসহ বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত বাধ্যতামূলক করা জরুরি। কারণ প্রতিটি মুসলিম নরনারীর জন্য বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত জানা ফরযে আইন।

আগেই বলেছি, নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তিই হল ধর্ম। অতএব ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে আলাদা করে দেখানোর কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। আবার বলা হয়েছে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হবে গল্প ও জীবনীভিত্তিক। যাদের গল্প ও জীবনীর উপর ভিত্তি করে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হবে তাদের গল্প ও জীবনীর মূল ভিত্তি হবে অবশ্যই ধর্ম। তাই সরাসরি ধর্ম ভিত্তিক নৈতিক শিক্ষা প্রবর্তন করতে হবে। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্মীয় দর্শন ও আদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করতে পারবে এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ছোটদের শিশুমন থাকে পবিত্র, স্বচ্ছ, সরল ও সুন্দর। এ বয়সে তাদেরকে যে আদব কায়দা শিখানো হবে তা হবে তাদের পরবর্তী জীবনের মূল ভিত্তি। এজন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে তার পিতা-মাতা (অভিভাবক) তাদেরকে ইহুদী অথবা খ্রিষ্টান অথবা অগ্নিপূজকে (যার যা বিশ্বাস সে অনুযায়ী) পরিণত করে।’- সহীহ বুখারী ও মুসলিম

আর তরুণ-তরুণীরা তাদের বয়সে অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের হাতছানি পেয়ে থাকে। এ সময় তাদের চাল-চলন ও আচার-আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অপরিহার্য। প্রশ্ন হল শিক্ষানীতি দেখে মনে হয়েছে, শুধু মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রয়োজন। সাধারণ স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কি কোনো প্রয়োজন নেই? অতএব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শ্রেণীতে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। শুধু তাই নয় ডিগ্রি পর্যায়েও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাদরাসার শিক্ষায় ইসলাম ধর্ম যথাযথ শেখানো হবে ...। পরে বলা হয়েছে, ‘ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীর মনে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি অটল বিশ্বাস গড়ে তোলা ...। কিন্তু এখানে ইসলামের মৌলিক আরেকটি বিশ্বাস আখিরাতের প্রসঙ্গটি অনুপস্থিত। অবশ্য ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অধ্যায়ে আখিরাতের প্রতি অটল ঈমান ও বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। উভয় স্থানে এ শিক্ষা যেন আচার সর্বস্ব না হয় তার কথা বলা হয়েছে। এ বাক্যগুলোর সংযোজন ঘটিয়ে সূক্ষ্মভাবে ইসলামের ইবাদত, আমল ও পোশাক-পরিচ্ছদসহ দৃশ্যমান যাবতীয় সংস্কৃতিকে খাটো করা হয়েছে। আসলে ইসলাম কখনো আচার সর্বস্ব ধর্ম ছিল না, এখনও নেই। ইসলাম সব সময় প্রাণবন্ত, যুযোপযোগী। ইসলামে রয়েছে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রায়োগিক ও সফল জীবন ব্যবস্থা। ইসলামে এ সকল বৈশিষ্ট্য থাকায় বহু অমুসলিম পণ্ডিত ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন।

মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া যায় ড. কুদরতে খোদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এ শিক্ষা কমিশন নব্বইটি প্রশ্ন সম্বলিত একটি প্রশ্নমালা, শিক্ষামালা, শিক্ষক, ছাত্র এমপিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে প্রেরণ করেন। প্রশ্নমালা পাঠানো হয় ৯৫৫১ জনের কাছে। উত্তর দিয়েছেন ২৮৬৯ জন। উত্তরদাতাদের মাঝে ২২৮৫ জনই মাধ্যমিক অথবা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ধর্ম শিক্ষাকে বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। ধর্ম শিক্ষাকে তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন মাত্র ১১৬ জন। অন্যেরা এ ব্যাপারে কোনো মতামত দেননি। একইভাবে মাদরাসা শিক্ষার প্রয়োজন নেই, এ মত দেন মাত্র ৭৬ জন। ৭২২ জন মাদরাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে একীভূত করার পক্ষে মত দেন। অন্যরা মত দেন মাদরাসা শিক্ষাকে বহাল রাখার পক্ষে। মনে রাখতে হবে সে সময়কার পরিবেশ পরিস্থিতির কথা। যৌক্তিক কারণেই প্রশ্নমালা প্রাপ্তদের সিংহভাগই ছিলেন সরকার সমর্থক। তাছাড়া তখন বাক স্বাধীনতার স্বরূপটি কেমন ছিল, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে মজার ব্যাপার হল, এর কোনোটারই প্রতিফলণ ঘটেনি ড. কুদরতে খোদা কমিশনের রিপোর্টে। বর্তমান কমিটি নিশ্চয় এ তথ্য সম্পর্কে অনবহিত ছিলেন না। তারা যদিও ড. কুদরতে খোদা কমিশনকে মূল ভিত্তি ধরেই এগিয়েছেন কিন্তু এক্ষেত্রে তারা বিষয়টিকে চেপে গেছেন। তারাও এ ধরনের একটি প্রশ্নমালা তৈরি করে জনমত যাচাই করতে পারতেন।

মূলত মাদরাসা শিক্ষা একটি বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা। এ শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীরা হবে মূলত বিশেষজ্ঞ আলিম। তাদের কেউ হবে কুরআন বিশেষজ্ঞ-মুফাসরিস, হাদীস বিশেষজ্ঞ-মুহাদ্দিস, ফিকহ বিশেষজ্ঞ-ফকীহ, ইফতা বিশেষজ্ঞ মুফতী ও আদব বিশেষজ্ঞ আদীব। তারা ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করবেন এবং দেশ ও জাতিকে ব্যক্তি পর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। পাশাপাশি সমসাময়িক ও আধুনিক বিষয়গুলো সম্পর্কে গবেষণার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।

সরকারী মাদরাসা শিক্ষার যে সিলেবাস দেওয়া হয়েছে তা এককথায় অগ্রহণযোগ্য। এর সর্বস্তরে অভিন্ন সিলেবাসকে ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়েছে। কমে গেছে অনেক এমন বিষয় যেগুলো অধ্যয়ন ছাড়া কোনো বিশেষজ্ঞ আলিম তৈরি হবে না। সে বিষয়গুলোকে রাখা হয়েছে ঐচ্ছিক হিসাবে। অথচ সেগুলো আবশ্যিক বিষয় হিসাবে থাকতে হবে। তারা যেন আরও বেগবান হতে পারে, আরও বিদ্যান হতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। মাধ্যমিক পর্যন্ত সিলেবাস দেখলে সাধারণ ও মাদরাসার মাঝে খুব একটা পার্থক্য বুঝা যাবে না। অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে প্রাথমিক স্তরে সাধারণের চাইতে মাদরাসা ছাত্রদের তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীতে তিনশত, পঞ্চম শ্রেণীতে চারশত ও ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তে হবে তিনশত নম্বরের বিভিন্ন বিষয়। এভাবে একজন যোগ্য আলিম তৈরি হওয়া কখনো সম্ভব নয়। তাদের অবস্থা হবে না ঘরকা না ঘাটকা। অভিভাবকবৃন্দ যারা তাদের সন্তানকে একজন যোগ্য আলিম হিসাবে দেখতে চান তাদের সে আশা কখনো পূরণ হবে না। স্মর্তব্য এই যে, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় আলিয়া মাদরাসার সূচনা থেকে এ পর্যন্ত মাদরাসা সিলেবাস প্রতিথযশা আলিমগণকে নিয়েই প্রণয়ন করা হয়েছে। মাদরাসা সিলেবাস তৈরির জন্য বিজ্ঞ আলিমদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। তাদেরকে আধুনিক বিষয়গুলো সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে মাদরাসা সিলেবাসে যত উপরের দিকে যাবে সেখানে আধুনিক বিষয়গুলো সন্ধান পেলেও কুরআন হাদীস বুঝতে সহায়ক বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ যে শিক্ষানীতির প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে জাতির চিন্তা-চেতনা ও আকীদা-বিশ্বাসের প্রতিফলন নেই। জাগতিক ও বৈষয়িক দিককেই মূলত তুলে ধরা হয়েছে। পারলৌকিক বিষয়ের কোনো গুরুত্ব এতে প্রতিফলিত হয়নি। বিশেষ করে সরকারী মাদরাসা শিক্ষার সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষানীতি ঘোষিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের পক্ষ থেকে তা প্রতিহত করার ঘোষণা আসছে। বিজ্ঞজনদের লেখালেখি ও পরামর্শ আসছে। আশা করব অনাকাঙ্খিত পরিবেশ তৈরির পূর্বেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন। দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠির আকীদা-বিশ্বাসের মূল্যায়ন করবেন এবং তাদের চিন্তা-চেতনা বিবেচনায় রাখবেন। সবশেষে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তুরষ্ক রাশিয়াসহ বহু দেশ ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু তারা ধ্বংস হয়েছে। বেঁচে আছে ধর্ম ও ধর্মীয় শিক্ষা। যতদিন ধর্ম থাকবে ততদিন ধর্মীয় শিক্ষাও থাকবে এটাই মহা সত্য।

 

advertisement