রজব ১৪৩৪   ||   মে ২০১৩

২২/০৫/৩৪ হি., ০৪/০৪/১৩ ঈ., বৃহস্পতি

 

আজ মাসিক মুহাযারা অনুষ্ঠিত হয়। মারকাযুদ দাওয়ার আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম এ মাসের মুহাযারা পেশ করেন। এ মাসের বিষয় ছিল আশতাত। তিনি বলেন,

১. আমরা যা বলব মুফীদ ও উপকারী এবং সাদীদ তথা সঠিক বলব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দুআ শিখিয়েছেন, (অর্থ) হে আল্লাহ আমরা তোমার কাছে পানাহ চাই, এমন ইল্ম থেকে যা কোন উপকারে আসে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (অর্থ) হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। (আহযাব ৩৩:৭০) কোন বিষয় না জেনে বলা, ভুল জেনে বলা বা ভুল বুঝার পরও তা বলা সবই মূর্খতা। আল্লাহ আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, (অর্থ) যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান (ইল্ম) নেই তার অনুসরণ করো না। কান, চোখ, হৃদয় এদের প্রতিটি সম্বন্ধে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (ইসরা ১৭:৩৬) সুতরাং কোন বিষয়ের ইল্ম না থাকলে তা বলা যাবে না। আর ইল্ম হলো, কোন বিষয় পরিপূর্ণ জানা, সুস্পষ্ট জানা ও দলীলভিত্তিক (বা বিষয়টি দলীলনির্ভর এ কথা) জানা। এ তিন বিষয় থাকলে তাকে ইলম বলে।

২. পড়ার শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম পড়ার সময় আমরা গুরুত্ব সহকারে পড়ব মাকছূদ মনে করে পড়ব। এমনভাবে পড়ব না যার দরুণ মনে হয় যে এটা আতিরিক্ত বিষয়।

৩. ওসায়েল ও মাকাসেদ বা কোন্টা মাধ্যম ও কোন্টা উদ্দেশ্য এবং ইলমের মধে উলূমে মাকসূদাহ কি কি সে বিষয়ে দীর্ঘ আলোকপাত করেন।

৪. ইলমে দ্বীনের পাশাপাশি জাগতিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ একটি শ্রেণী তৈরি করাও খলীফাতুল মুসলিমীনের দায়িত্ব। স্বাভাবিকভাবে এমন একটি শ্রেণী তৈরি না হলে খলীফা এক দলকে তাতে দক্ষ হতে বাধ্য করবেন। দ্বীনদার শ্রেণীর মাঝেও জাগতিক জ্ঞানে পারদর্শী লোক দরকার, তা যথাযথ হচ্ছে না।

এ জাতীয় আরো বিক্ষিপ্ত কিছু বিষয় নিয়ে ইশা পর্যন্ত আলোচনা হয়। 

 

 

advertisement