শাওয়াল ১৪৩০   ||   অক্টোবর ২০০৯

প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইউরোপে বাড়ছে ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ

জহির উদ্দিন বাবর

সামপ্রতিক সময়ে ইউরোপে ইসলাম যে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ইউরোপের প্রাচ্যবিদ, নীতিনির্ধারক মহল, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিক-সাহিত্যিকরা রীতিমতো পেরেশান। এ প্রবণতা ও বিপ্লব দেখে তারা হতবাক। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত সময়িকী ‘টাইমস’ এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যার প্রতিটি বাক্যে ইসলামের সত্যতা ও বাস-বতা উন্মোচিত হয়ে যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপে নতুন মসজিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব মসজিদ থেকে দৈনিক পাঁচ বার আযানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। রোমে তিন কোটি ডলার ব্যয়ে সুরম্য একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ করেছে সে দেশের সরকার। ফ্রান্সে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। অথচ ১৯৭০ সালে সে দেশে মসজিদের সংখ্যা ছিল ডজনখানেক। ‘টাইমস’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইউরোপে সর্বমোট মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। বৃটেনে প্রায় একশ’র মতো পাবলিক স্কুলে বাচ্চাদের সিলেবাসে ইসলামিয়াত অন-র্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিম জার্মানিতে পশ্চিমা ধাঁচে পরিচালিত যতগুলো পাবলিক স্কুল আছে তার এক তৃতীয়াংশের মতো মুসলমান শিশুদের জন্য। রিপোর্টে জানা যায়, মাত্র তিন দশক আগেও ইউরোপে মুসলমানরা ছিল অখ্যাত। তাদেরকে দেখা হত সন্দেহের চোখে। কিন' মুসলমানরা তাদের অবস'ান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। এমনকি তারা তাদের ভোটে লর্ড নজীর আহমদকে বৃটেনের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত করেছেন। বর্তমানে ওলামায়ে কেরাম এবং দাওয়াত ও তাবলীগের প্রতিনিধিদল ব্যাপকহারে ইউরোপ সফর করছেন। মুসলমানরা তাদের সভা-সমাবেশে অত্যন- আগ্রহের সঙ্গে শরীক হচ্ছেন। ইসলামী সাহিত্য এবং কুরআনে কারীমের তরজমা পড়ার প্রবণতা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। এসব কিছু পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ জনগোষ্ঠীর মাঝে অভাবনীয় প্রভাব ফেলছে। ইউরোপে ইসলামের এই ব্যাপক প্রচার-প্রসারের পেছনে প্রধান ভূমিকা তাবলীগ জামাত এবং ওলামায়ে কেরামের। এটা তাদেরই চিন-া-চেতনা এবং অবিশ্রান- সাধনার ফল। নিঃসন্দেহে এ ক্ষেত্রে ইউরোপের স'ানীয় ওলামায়ে কেরাম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক-সামাজিক সংস'া ও তাবলীগ জামাতের প্রয়াস প্রশংসাযোগ্য। ইউরোপের দু’জন স্কলারের আলোচনা, মুসলমানদের ব্যাপারে তাদের কর্মসূচি-কর্মপরিকল্পনা ও চিন-াধারা এখানে পেশ করার মতো। বৃটেনের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক খুরশিদ আহমদ বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক ইউরোপে প্রায় আড়াই কোটি মুসলমান বাস করেন। এর মধ্যে এক কোটি ১৫ লাখ রাশিয়ায়, ৭৫ লাখ পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে এবং প্রায় ৭০ লাখ শুধু পশ্চিম ইউরোপে বাস করেন। এমনিভাবে আজ ইসলাম ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ইউরোপের মুসলিম ফোরামের পরিচালক মাহমুদ সিদ্দীকী সাদী বলেন, জাতিসংঘ ইউরোপের মুসলমানদের ব্যাপারে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২১ মিলিয়ন (দুই কোটি ১০ লাখ)। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা হচ্ছে ৪২ মিলিয়ন (৪কোটি ২০ লাখ) এর চেয়েও বেশি। এরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে ৭০ লাখ, ফ্রান্সে ৫০ লাখ এবং ৪০ লাখেরও অধিক মুসলমান জার্মানীতে বাস করছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের পরিসংখ্যান ও একটি পর্যালোচনা এক. বৃটেনে প্রতিদিনই মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান মোতাবেক বৃটেনে মুসলমানের সংখ্যা ২০ লাখ। ৬০০ মসজিদ এবং ৪০০ এর মতো ইসলামী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বৃটেনে মুসলমানদের সংখ্যা এবং মসজিদ নির্মাণের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। একথার সত্যতা নিরূপণ করা যায় শুধু এটা দিয়েই যে, ১৯৬৩ সালে বৃটেনে শুধু তিনটি মসজিদ ছিল। আর এসব মসজিদে শুধু ফজর, মাগরিব ও ইশার নামায হত। তখন বৃটেনে জুমার নামাযের বিশেষ কোনো প্রচলন ছিল না। সে সময় থেকে মাত্র ত্রিশ বছর পর ১৯৯৩ সাল পর্যন- বৃটেনে ৫৭৫ টি মসজিদ নির্মাণ হয়েছে এবং এসব মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও জুমা নিয়মিতভাবে আদায় হচ্ছে। দুই. ফ্রান্স ইউরোপের এমন একটি দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। ফ্রান্সে মুসলমানের সংখ্যা ৬০ লাখ। সেখানে ১৩০০ মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার এবং ১৬০০ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে মুসলমানদের নিজস্ব রেডিও চ্যানেল রয়েছে। প্রসিদ্ধ শহর ‘মুদগাসাকার’ এর পূর্বাঞ্চলে ‘রিইউনিয়ন’ দ্বীপে মুসলমানেরা তাদের প্রথম স্কুল খুলেছে। ‘এব্রোবিলার্সে’ ২০০১ সালে তারা সর্বপ্রথম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে তাদের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান মোতাবেক ফ্রেঞ্চ মুসলমানের সংখ্যা ৩০ হাজার। আর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসিদ্ধ স্কলার আবদুল করীম মুরাদ বলেছেন, এক লাখ ফ্রেঞ্চ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। এভাবে নও মুসলিমদের সংখ্যার দিক থেকে ফ্রান্স ইউরোপের সর্বশীর্ষে রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ধারণা করছেন আগামী পনের বছরে ফ্রান্সে মুসলমানের সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০ লাখে উন্নীত হয়ে যেতে পারে। তিন. ইতালি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ঞযব ঔড়ঁসধষ এ প্রকাশিত হয়েছে যে, দু’শ বছর পর ইউরোপের সমাজব্যবস'া পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে নিবে। ইতালি ও জার্মানিতেও মুসলমানদের সংখ্যা উৎসাহব্যাঞ্জক। ইতালিতে মুসলমানের সংখ্যা ১০ লাখ। ৪৫০ টি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার কাজ করছে সেখানে। বিগত কয়েক বছরেই ৮০ হাজার লোক ইসলাম গ্রহণ করেছে। জার্মানিতে ১০ লাখ মুসলমান বাস করছে। মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার রয়েছে ১৪০০ টি। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন- কানাডায় মুসলমানের সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর সুইজারল্যান্ডে ছয় হাজার খৃষ্টান ইসলাম গ্রহণ করেছে। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা ২০২০ সাল পর্যন- ইউরোপে মুসলমানদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। আমেরিকার একটি স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ হবে মুসলমান। বিশিষ্ট গবেষক জন বেগস এর মতানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন- পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ হবে মুসলমান। প্রসিদ্ধ খৃষ্টান পাদ্রী মাজুলিনী এর মতে ভবিষ্যত হবে ইসলামের। বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান, মুসলিম ও অমুসলিম স্কলারদের স্বীকৃতি ও স্বীকারোক্তি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট এখানে পেশ করা হল। এখন এখানে সে রিপোর্টটি পেশ করা যাক যার কথা শুরুতে আমরা উল্লেখ করেছিলাম। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত উল্লিখিত পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা হবে ৩৫.৫ ভাগ, যখন খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী হবে ২০.২ ভাগ। ২০০০ সালে হিন্দু ছিল ১৩.৪ ভাগ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ হবে ১৩.১ ভাগ। ২০০০ সালে বৌদ্ধ মতাবলম্বী ছিল ৫.৯ ভাগ, যা ২০২৫ সালে কমে হবে ৫.৭ ভাগ। ২০০০ সালে ইহুদী ছিল ৩.৭ ভাগ, যা ২০২৫ সালে হবে ২.৫ ভাগ। ওই সাময়িকীটি স্বীকার করেছে, ইউরোপে ইসলামের বিকাশ অন্য যে কোনো ধর্মের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এখন আপনি উল্লিখিত পরিসংখ্যানটি মনোযোগের সঙ্গে বিশ্লেষণ করুন। এটি এবং এ ধরনের অন্যান্য রিপোর্ট যখন সারা বিশ্বের শীর্ষস'ানীয় ইহুদী রাব্বী ও খৃষ্টান পাদ্রীদের সামনে এসেছে যে, ২০২৫ সাল নাগাদ ইসলাম ধর্মাবলম্বী বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৫.৫ ভাগ আর খৃষ্টান ও ইহুদী যথাক্রমে ২০.২ ও ২.৫ ভাগ হবে; তখন তারা সম্মিলিতভাবে ভাবতে আরম্ভ করেছে যে, কিভাবে বিশ্বব্যাপী এই মুসলিম জাগরণকে রুখে দেওয়া যায়। এ লক্ষ্যে তারা যে সব পরিকল্পনা করেছে তা কয়েক ধরনের হতে পারে। প্রথমত : ওয়ান ইলেভেনের ঘটনা এই পরিকল্পনার সূচনাপর্ব ছিল। এ ঘটনার পর আফগানিস-ানে হামলা করে ইসলামী আদলে গড়ে ওঠা একটি শাসনব্যবস'া ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা ও বৃটেনে রেজিস্ট্রেশনের নামে মুসলমানদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন আইন কঠোর করার দ্বারা মুসলমানদের অবাধ যাতায়াত রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আইনের খড়গ দিয়ে স্বাধীনচেতা মুসলমানদেরকে চাপ ও শঙ্কায় পতিত করা হয়েছে। তাদের টেলিফোনে আড়িপাতা হচ্ছে, যাতে তারা কার্যকরভাবে ইসলামের বিকাশ ও পুনর্জাগরণে শরীক হতে না পারে এবং এর জন্য কোনো প্রকার ফান্ড রাইজিং করার সুযোগ না পায়, না পায় বিকশিত হওয়ার কোনো উপায়। দ্বিতীয়ত : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে। কুরআন মজীদকে সন্ত্রাসের প্রেরণাদায়ক গ্রন' হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। নাটক ও ফিল্মের মাধ্যমে বিষোদগার করা হচ্ছে। যদি গভীরভাবে চিন-া করা হয় তবে দেখা যাবে যে, এভাবে ইসলামের গোড়ায় কুঠারাঘাত চালানোর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আত্মমর্যাদাগত ও মনস-াত্ত্বিকভাবে মুসলমানদেরকে ব্যাপকভাবে দুর্বল ও শংকিত করে তোলা হচ্ছে। তৃতীয়ত : মুসলমানদের ব্যাপকভাবে হত্যা করে তাদের সংখ্যা দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে আফগানিস-ানে হামলা করে দেশটিকে বিরান করা হল, পরে ইরাককে ধ্বংসস'পে পরিনত করা হল। পবিত্র ভূমি ফিলিসি-নে প্রতিদিনই পড়ছে মুসলমানের লাশ। (লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, এতে শিশু, তরুণ ও যুবকদেরকেই টার্গেট করা হচ্ছে বেশি।) পাকিস-ানের সীমান-বর্তী এলাকাসমূহে সশস্ত্র লড়াই ও ব্যাপক চালকবিহীন বিমান হামলা সেই নীলনকশারই অংশ। এসব প্লান ও কূটচালের মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমত তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বমানবতাকে এ বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, মুসলমানরা সন্ত্রাসী, তাদের পবিত্র কিতাব সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা দেয়, তাদের নবী সম্মানযোগ্য নয়। (নাউযুবিল্লাহ) যাতে তাদেরকে নবী কারীম সালল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সীরাতে তাইয়্যেবা এবং কুরআনে কারীমের শিক্ষা থেকে ফিরিয়ে রাখা যায়। বিভিন্ন দেশে তাবলীগী প্রতিনিধি দলের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ এবং তাদেরকে ভিসা না দেওয়ার পলিসিও এই প্লানেরই অংশ। বলা যায়, এ পর্যায়ে মুসলিমবিশ্বের সরকারপ্রধানদের দায়িত্ব বড় হয়ে ওঠে। মুসলিম বিশ্বের সরকার প্রধানদের কাছে দাবি হল, তারা যেন ইহুদীদের এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেন। বর্তমানে এ লক্ষ্যে কার্যকর এমন উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজন জোরালোভাবে অনুভূত হচ্ছে, যার মাধ্যমে ইহুদীদের দুষ্টচক্র থেকে ইসলাম ও মুসলমানদেরকে বাঁচানো যায়। এতে মুসলিম শাসকদের নিজস্ব স'ায়িত্বও নিশ্চিত হবে এবং মুসলিম বিশ্বের সম্পদ ও প্রযুক্তির হেফাযতেরও সুব্যবস'া হবে। শেষ কথা এই যে, বিশ্বব্যাপী ইহুদীদের এই প্লান, চক্রান- ও কূটচালের পরও কেন ইউরোপ ইসলামের ছায়াতলে আসছে-এটি একটি বিস্ময়। বিশিষ্ট ইংরেজ লেখক ও দার্শনিক জর্জ বার্নার্ড শ-এর একটি উক্তি ইতিহাসের বইসমূহে প্রসিদ্ধ -‘আগামী শতকে দুনিয়ার সকল ধর্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে শুধু ইসলাম ছাড়া। কারণ এটিই একমাত্র ধর্ম যা সময়ের সকল প্রয়োজন পূরণ করে।’ (সূত্র : ছেহ রোজা দাওয়াত নয়ে দিল্লী, ২৮ জুলাই, ২০০৮)

 

advertisement