একটি অনর্থক কাজ : খুৎবা চলাকালীন দান বাক্স চালানো
অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুৎবা চলা অবস্থায়ও দানবাক্স চলতে থাকে। হাদীস শরীফে খুৎবা চলা অবস্থায় অন্যকে চুপ করতে বলাকেও অনর্থক কাজ বলা হয়েছে। সেখানে খুৎবার সময় দানবাক্স চালানো তো আরো বড় অনর্থক কাজ। সুতরাং তা পরিহার করা জরুরী।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করে জুমার জন্য মসজিদে এল তারপর চুপ থেকে খুৎবা শুনল তার দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করল সে ‘অনর্থক’ কাজ করল।
(দ্র. সহীহ মুসলিম, কিতাবুল জুমুআ, হাদীস : ৮৫৭)
আরেক হাদীসে এসেছে, জুমার দিন খুৎবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের সাথীকে বল, ‘চুপ কর’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে। (দ্র. সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৩৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৩১
‘নাহি আনিল মুনকার’ বা গোনাহের কাজ থেকে নিষেধ করা তো ভালো। কিন্তু খুৎবা চলা অবস্থায় সেটাকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে। মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুৎবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হবে। এজন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরী।
এখানে এবিষয়টিও বলে দেওয়া সমীচীন মনে হয় যে, মসজিদফান্ডের জন্য দান সংগ্রহ করার এই পদ্ধতি (বাক্স চালনা) কি কোনো আদর্শ পদ্ধতি হতে পারে-এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন। অনেকে এ পদ্ধতিকে পছন্দের দৃষ্টিতে দেখেন না। এজন্য এর উত্তম বিকল্প কী হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা ফিকির করা প্রয়োজন। আসলে তো উচিত ছিল, প্রত্যেক মুসল্লী নিজ নিজ জিম্মাদারিতে স্বীয় অনুদান মসজিদের জিম্মাদারগণের কাছে জমা করে আসবেন। কিন্তু না আমাদের ঈমান অত মজবুত না আমাদের সেই ফুরসত আছে।