যিলহজ্ব ১৪৩০   ||   ডিসেম্বর ২০০৯

তালিবে ইলমের আত্মমর্যাদা

মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ

একটা কথা বলা জরুরি মনে করছি। এটা অবশ্য অনেকবার বলেছি। কিন্তু মুখাতাব যেহেতু পরিবর্তন হতে থাকে তাই হতে পারে যে, এখন যাদের বলছি তারা এক বারও শোনেনি। কথাটার উনওয়ান হচ্ছে তালিবে ইলমের আত্মমর্যাদা।

এখন ইলমের ময়দানে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, তালিবে ইলম নিজেই নিজের মর্যাদা সম্পর্কে জানে না এবং তালিবে ইলমের সমাজও তা জানে না। তালিবে ইলমের সমাজ তাকে অমর্যাদার চরমে নিয়ে গেছে। তালিবে ইলমের চোখেও নিজের মর্যাদা নেই, তার সমাজের চোখেও মর্যাদা নেই। তালিবে ইলম নিজেও তার শিক্ষককে সম্মান করে না। সমাজও মাদরাসার দ্বীনের শিক্ষককে মর্যাদা দেয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের যে মর্যাদা একজন দ্বীনী মাদরাসার শিক্ষকের সে মর্যাদা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের যে মর্যাদা, একজন তালিবে ইলমের সে মর্যাদা নেই। এটা পদে পদে আমরা দেখতে পাই। সমাজের চোখে একটি স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির যে মর্যাদা, একটি মাদরাসার সে মর্যাদা নেই। কার চোখে নেই? সমাজের চোখে নেই এবং মাদরাসায় যারা বসবাস করছে তাদের চোখেও নেই। তারাও পদে পদে মাদরাসাকে অসম্মান করে, মাদরাসার শিক্ষককে অসম্মান করে, ইলমকে অসম্মান করে। আর সমাজও তাই। এটাই হল এখন ইলমের সবচেয়ে বড় মর্মান্তিক সমস্যা। যতদিন পর্যন্ত আমরা এই মর্যাদাকে পুনরুদ্ধার না করতে পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

প্রথমে নিজের চোখেই নিজেকে মর্যাদা অর্জন করতে হবে। আমি যেন নিজেকে সম্মান করি, নিজের শিক্ষককে সম্মান করি। আমি যেন মাদরাসাকে সম্মান করি এবং ইলমের সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয়কে সম্মান করি। যখন আমি নিজেকে সম্মান করতে শিখব তখন ধীরে ধীরে আমার চারপাশের লোক আমাকে সম্মান করবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এবং মর্মান্তিক সমস্যা এটাই যে, আমার চোখে আমার মর্যাদা শেষ হয়ে গেছে। সমাজের চোখেও আমার মর্যাদা নেই। এটাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। এটা মাদরাসাতুল মদীনার একটি বিশিষ্ট চিন্তা। মাদরাসাতুল মাদীনা তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে এই জিনিসটাকে সামনে রেখেছে যে, নিজের চোখে নিজের মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সমাজের চোখেও নিজেদের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের ভেবে ভেবে চিহ্নিত করতে হবে যে, এই করলে নিজের কাছে নিজের মর্যাদা রক্ষা পায় এবং এই করলে সমাজের কাছেও মর্যাদা পাওয়া যায়। তো বিস্তারিত আলোচনার তো এখন সুযোগ নেই। এখন যে সমস্যাটা আমি দেখতে পাচ্ছি সেটা নিয়ে কথা বলছি।

আমাদের দেশে দুঃখজনকভাবে এক পরিবারে একাধিক রকমের শিক্ষার প্রচলন আছে। অনেক সময় দেখা যায়, পরিবারের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজে পড়ে। একজন পড়ে মাদারাসায়। যে মাদরাসায় পড়ে সে নিজেকে ছোট মনে করে আর অন্যরাও তাকে অবজ্ঞার চোখে দেখে। কেউ করুণার চোখে দেখে। কেউ বলে যে, এটা বেকার! আবার কেউ করুণা করে বলে, তুই চিন্তা করিস না, তোর লাইগা আলাদা জমি রাইখা দিমু। মানে তুমি তো চলতে পারবে না। তাই সামনে তোমার খাওয়া-পরার ব্যবস্থা আমি করে যাব। আমি তো জুলুম করেছি তোমার উপর। তোমার ভাইকে কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছি। আর তোমাকে মাদরাসায় পড়িয়ে বেকার বানিয়েছি। তাই তুমি চিন্তা করো না। আমি আমার কবরের ফায়দার জন্য তোমাকে এই পথে পড়িয়েছি। তোমার দুনিয়ার চিন্তা আমি করে যাব। এটা কিন্তু করুণা, বাবার পক্ষ থেকে ভিক্ষা। ভাইও বলে, আমার ভাইকে মাদরাসায় দেওয়া হয়েছে। ঠিক আছে, আমি এটা সামনে খেয়াল রাখব। আর কখনো করে অবজ্ঞা, অমর্যাদা।

তালিবে ইলম নিজেও নিজেকে অমর্যাদা করে। আগে তুমি নিজের চোখে মর্যাদা অর্জন কর। নিজেকে তুমি মর্যাদাবান ও সম্মানিত মনে করার চেষ্টা কর। তুমি ভাব যে, আমি এই পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সবচেয়ে মর্যাদাবান সদস্য। কারণ এই পরিবারের পক্ষ থেকে একমাত্র তালিবে ইলম আমি। সুতরাং আমার মর্যাদা সবার চেয়ে বেশি।

এখন মর্যাদা দুই রকম। একটা হল তোমার চোখে মর্যাদা আরেকটা হল অন্যের কাছে মর্যাদা দাবি করা। অন্যের কাছে মর্যাদা দাবি করলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। অতএব অন্যের কাছে মর্যাদা দাবি করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি যেন নিজেকে মর্যাদা দেই। অর্থাৎ আমি আমার পরিবারের সামনে এমন কোনো কাজ করব না, যাতে আমার পরিবার বলতে পারে, মাদরাসায় পড়ে কী লাভ হল? আমার পরিচয়ের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ কোনো কাজ আমি করব না। একজন কলেজের ছাত্র স্কুলের ছাত্র যে কাজ করতে পারে, আমি তা পারি না। কারণ আমার আলাদা মর্যাদা আছে।

আমি নিজের মর্যাদাটা নিজের কাছে প্রতিষ্ঠিত করি। এর জন্য কী কী করণীয় তা তুমি ভেবে দেখ। আল্লাহর যে আদেশ আছে তা মযবুতীর সাথে পালন কর। আল্লাহর যে নিষেধ আছে সেগুলো থেকে মজবুতীর সাথে বেঁচে থাক। তোমার পরিবারের কেউ যেন তোমাকে এমন বিবাহে নিতে না পারে যেখানে দ্বীনের খেলাফ কাজ হচ্ছে। বিনয়ের সাথে বলে দাও, আপনারা যান, আমি যাব না। যাব না তো যাবই না।

আমি একটা কথা বলি, নমনীয়তার সাথে অনমনীয়তা ভদ্রতার সাথে বল যে, আমার পক্ষে সম্ভব না, আমার আল্লাহ নারায হবেন। ওখানে বেপর্দা হবে, পর্দাপুশিদা রক্ষা হবে না। যেখানে পর্দা রক্ষা হয় না, সেখানে আমি যাব না। এই শব্দগুলি পরিবারের কাছে অপরিচিত। এই শব্দগুলো যখন বলবে তখনই তোমার পরিবার হোঁচট খাবে। কিন্তু এটা তুমি বলতে পারবে কখন? যখন তুমি নিজে পর্দা রক্ষা করে চলবে। আর নয় তোমাকে নিয়ে মানুষ মশকরা করবে। এটা গেল একটা বিষয়।

এখন যে সমস্যাটা নিয়ে আমি খুব পেরেশান, সেটা তোমাদেরকে বলছি। যে কোনো অনুষ্ঠানে সময় নির্ধারণ করা হয় পরিবারের বা প্রতিষ্ঠানের বা এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ রেখে। এলাকায় একটা জনসভা হবে। অমুক মন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে হবে। মন্ত্রীকে গিয়ে কেউ একথা বলার সাহস পাবে না যে, অমুক তারিখে আমি সভা নির্ধারণ করেছি আপনাকে আসতে হবে। প্রথমে ছুটে যাবে মন্ত্রীর কাছে যে, আপনার কবে সময় আছে? কারণ মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার সুবিধা অনুযায়ী অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হবে। তো আমাকে যদি কেউ কোনো অনুষ্ঠানে শরীক করতে চায় তাহলে আমাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আমার কাছ থেকে সময় নিবে। আমরা একটা অনুষ্ঠান করতে চাই, আপনাকেও সেখানে রাখতে চাই, আপনি আসবেন তো? আপনি আপনার সময়মতো ও সুযোগমতো একটা তারিখ দেন। তখন কী হবে? আমি তারিখ দিব এবং সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানটা হবে। যেহেতু আামি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আর আমি যদি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে না করি তাহলে মানুষ আমাকে গুরুত্ব দেবে কেন? তো আমরা একথাটা আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই যে, একটা পরিবারে তালিবে ইলম হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পুরো পরিবার ওই তালিবে ইলমকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে। স্কুলে কিন্তু তাই হয়। মায়ের বেড়ানো, বাবার বেড়ানো, পরিবারের বেড়ানো সবকিছু ওদের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে হয়। একটা ঘটনা তুমি আমাকে দেখাও যে, আমাদের দেশে কোনো একটা ছেলের এসএসসি পরীক্ষার সময় সেই পরিবারে বিয়ে হয়েছে। একটা ঘটনা দেখাও যে, ছেলের স্কুল বন্ধ করে ছেলেকে কক্সবাজার বেড়াতে নিয়ে গেছে।

গত দুই তিন বছর আগের ঘটনা। আমার একজন আত্মীয় তার পরিবারের সমস্ত বোনেরা একত্র হবে মায়ের বাড়িতে। তো একজনকে যখন বলা হল তখন সে বলল, আমি তো আসতে পারব না। আমার ছেলের স্কুল বন্ধ হবে আরো পনেরো দিন পর। তাই আমি এখন আসতে পারব না। মায়ের সবকিছু চলে তার ছেলের কখন বন্ধ হবে, কখন খোলা হবে এর উপর। শুধু ব্যতিক্রম হল মাদরাসা। মাদরাসার তালিবে ইলম যে পরিবারের সদস্য, সে পরিবার আগে সময় নির্ধারণ করে এরপর মাদরাসায় এসে বলে, ছেলেকে ছুটি দেন। ছেলে হয়ে গেল অনুষ্ঠানের তাবে। হওয়া দরকার ছিল একেবারে বিপরীত। আমরা এই বিবাহের অনুষ্ঠান করতে চাই তো আমার ছেলের ক্যালেন্ডার দেখি। তার সময় আছে কবে? অমুক শুক্রবারে সময় আছে তাহলে ঐ শুক্রবারে অনুষ্ঠানটা কর। কিংবা কুরবানীর পর এতদিনের ছুটি আছে। তখন অনুষ্ঠানটা কর। কারণ আমার ছেলের তো থাকতে হবে। আর সে থাকবে তার সুবিধামতো, আমাদের সুবিধামতো নয়।

পরিবার যদি তোমাকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করে আর তুমি যদি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে কর তাহলে তুমি তোমার পরিবারকে বলবে যে, আমাকে যদি এই অনুষ্ঠানে রাখতে হয় তাহলে তো অনুষ্ঠানটা আমার সুবিধামতো করতে হবে। তবে বিরোধে যাব না। ঠিক আছে, আপনারা যদি মনে করেন যে, আপনাদের কোনো সমস্যা আছে, এজন্য অমুক তারিখে আপনাদের করতে হবে, তাহলে ঠিক আছে, আপনারা করে ফেলেন। আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে আমি থাকতে পারব না। কিন্তু তৃতীয় সুরত যে, তোমার সুবিধামতোও করবে না এবং তোমার অনুপস্থিতিও মানা হবে না; বরং তাদের সুবিধামতো তোমার কাজ ফেলে তোমাকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে, এর চেয়ে অমর্যাদা, এর চেয়ে বে-ইযযতী ও যিল্লতী আর হতে পারে না। এটা তো তুমি মানতে পার না। যদি মান তাহলে বুঝতে হবে তোমার নিজের চোখে তোমার মর্যাদা নেই এবং লিখে নিতে পার যে, তোমার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এটা কোনো হালকা বিষয় নয়। এটার রেশ অনেক দূর পর্যন্ত যাবে। তোমার পরিবার ইলম থেকে মাহরূম হয়ে যেতে পারে এবং এর অনেক নযীর আছে। পরিবার যদি তার তালিবে ইলমকে সবচেয়ে মর্যাদার অধিকারী মনে না করে এবং সেরকম মর্যাদার আচরণ না করে তাহলে সে পরিবারে ইলম নাও আসতে পারে। না আসার যথেষ্ট আশংকা আছে। এটা পরিবারের নিজের প্রয়োজনে ভাবতে হবে। কারণ পরিবার একটা ছেলেকে, একটা ছেলের ভবিষ্যতকে ইলমের জন্য কুরবান করে দিচ্ছে। সুতরাং ওই পরিবারেরও প্রয়োজন আছে ইলম থেকে যেন মাহরূম না হয়।

তুমি যদি নিজেকে তালিবে ইলম হিসাবে মর্যাদা না দাও তাহলে ফেরেশতারা তোমার জন্য দুআ করবে, সমুদ্রের মাছেরা তোমার জন্য দুআ করবে-এটা কী হতে পারে? ওই তালিবে ইলমের জন্যই দুআ করবে, যে তালিবে ইলম নিজেকে মর্যাদা দেয়। এজন্য আমরা আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করে দেই। এখানে যদি ভর্তি হতে চাও তাহলে তোমাকে এই আত্মমর্যাদা উপলব্ধি করতে হবে এবং তোমার পরিবারকেও উপলব্ধি করতে হবে। তবে বিরোধে যাবে না। কোনো অন্যায় কাজে যদি তোমার পরিবার তোমাকে শরীক করতে চায় তুমি নমনীয়তার সাথে অনমনীয়তা বজায় রাখবে। তুমি ভদ্রতার সাথে বল, এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আমি আমার আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করতে পারি না। আমার আল্লাহ নারায হবেন। তোমার বাবা যদি বলেন, সামাজিকতায় খারাপ দেখা যায়। তোমাকে যেতেই হবে। তো আপনি আব্বা একটু লিখে দেন যে, এতে যদি কোনো গুনাহ হয় তার দায়িত্ব আপনার। কিয়ামতের দিন আপনি আল্লাহর কাছে এর জবাব দিবেন। আপনি লিখে দিলে আমি যাব। লিখেও দিবে না, যেতেও হবে-এটা তো হয় না। এটা অযৌক্তিক কথা। আমি বাবা হিসাবে এতটুকু সম্মান তো আপনাকে করছি যে, আপনি এটার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আমি যাব। নমনীয়তার সাথে অমনমনীয়তা বজায় রাখ। ঘরে যদি টেলিভিশন থাকে, যাতে নাচ-গান হতে থাকে তাহলে তুমি নমনীয়তার সাথে অনমনীয়তা প্রদর্শন কর। এ কামরায় তুমি কখনো প্রবেশ করো না। অভদ্রতা করবে না, রুক্ষ্মতা করবে না। তবে নিজের আদর্শের উপর অটল থাকবে। পক্ষান্তরে তুমি নিজেই যদি আমার কাছে এসে বল, হুযুর দয়া করে আমাকে দুই দিন ছুটি দেন, আমার ভাইয়ের বিয়ে। তখন তো আমার কলিজায় আঘাত লাগে বাজান। আমাদের কাগজে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে, এরকম ছুটি চাওয়াও অপরাধ। এসব ক্ষেত্রে ছেলের সুবিধা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করতে হবে।

এ বছরের শুরুতে এক ছেলের সম্ভবত নানা এসে বলছে যে, ছুটি দিতে হবে বিয়েতে। আমরা ছুটি দেইনি। শেষে বলেছে, তাহলে তো আমরা আর ছেলেকে রাখতে পারব না। আমি বললাম, খুব ভালো কথা। আমি তো শুরুতেই বলেছি যে, এই মাদরাসায় সবাইকে ভর্তি করা ঠিক না। আপনি ছেলেকে নিয়ে যান। অন্যস্থানে ভর্তি করান। আমার কোনো আপত্তি নেই এবং আমি তাতে খুশি। তোমার কাছে যদি এটাকে সমস্যা মনে হয় তাহলে তোমার এমন মাদরাসায় ভর্তি হওয়া উচিত যেখানে তুমি এ রকমের সমস্যায় পড়বে না। কিন্তু এখানে পড়বে এবং এখানের অসম্মান করবে তাহলে তো তুমি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর এ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নযীরও আছে।

আমার একজন খুব নিকট আত্মীয়। সে এই মাদরাসায় নিজের ছেলেকে ভর্তি করেছে। এরপর বিয়ের জন্য ছুটি দিতে হবে। আমি ছুটি দেইনি। ছেলেকে নিয়ে গেছে। আমি বলেছি, ঠিক আছে। নিয়ে যান। এটা ভালো। অন্য মাদরাসায় ভর্তি করান। বাইতুস সালাম মাদরাসায় ভর্তি করেছে, লেখাপড়া করেছে। কিন্তু তুমি যদি এখানে পড়তে চাও তাহলে তোমাকে এখানের সম্মান করতে হবে এবং এর দ্বারা তুমি লাভবান হবে। (চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

advertisement