রজব ১৪৩০   ||   জুলাই ২০০৯

মিরাজ বিষয়ক আলোচনা : কিছু অসতর্কতা

 ১. যেহেতু কোনো কোনো অবিশ্বাসী মিরাজের ঘটনাকে অসম্ভব মনে করে তাই অনেকে তাদেরকে বোঝানোর জন্য বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারণা করেন এবং মিরাজের সম্ভাব্যতা প্রমাণের প্রয়াস পান। আসলে এটা মৌলিক কাজ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহেতু নিজ শক্তিতে আসমান ও জমিনের এই আশ্চর্য ভ্রমণ সম্পন্ন করেননি। তাঁকে ভ্রমণ করানো হয়েছে এবং করিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা, যিনি আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা এবং সকল ত্রুটি ও অক্ষমতা থেকে পবিত্র এজন্য কোনো মুমিন কুরআন-হাদীসের বিবরণের উপর সামান্যতম দ্বিধাও করতে পারে না। এ কথাটিই হচ্ছে এ প্রসঙ্গে মূল কথা।

২. মিরাজের ঘটনা বলার সময় বর্ণনার শুদ্ধা-শুদ্ধির প্রতি দৃষ্টি না রাখাও একটি ব্যাপক ভুল। একশ্রেণীর মানুষ যে কোনো চটি পুস্তিকায় কিছু পেলে বা কোনো কাহিনীকারের নিকট কিছু শুনলে তা-ই বিশ্বাস করে বসে এবং এত দৃঢ়তার সাথে তা বর্ণনা করতে থাকে যেন সহীহ বুখারী বা সহীহ মুসলিমের হাদীস। এমন কাজ শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়েয।

৩. কোনো কোনো জাহেল ব্যক্তি মিরাজের ঘটনা এমনভাবে বর্ণনা করে, যেন আরশ আল্লাহ তাআলার থাকার জায়গা  এবং তিনি নবীজীকে নিজের ঘরে দাওয়াত করেছেন। নাউযুবিল্লাহ।

এই উপস্থাপনা খুবই মারাত্মক। আল্লাহ তাআলা সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা, আরশ তাঁর মাখলুক, স্থান ও কাল তিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর সত্ত্বা স্থান-কালের সকল বন্ধনের উর্ধ্বে। এটাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকীদা।

মিরাজের ঘটনাকে ঠিক সেভাবেই বুঝতে হবে যেভাবে সূরা ইসরা ও সূরা নাজমের আয়াতসমূহে ইরশাদ হয়েছে এবং সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে। #

 

 

advertisement