সফর-১৪৩৩   ||   জানুয়ারি-২০১২

একটি ভুল মাসআলা : আযানের আগে কি সুন্নত পড়া নিষেধ

 

যেসব ফরয নামাযের আগে দুই বা চার রাকাত সুন্নত পড়তে হয় সেসব সুন্নতের সময় শুরু হয় ঐ ফরযের সময়ের শুরু থেকেই। তাই ফরযের ওয়াক্ত হওয়ার পর আযান না দেওয়া হলেও সুন্নত নামায আদায় করা যায়। অনেকে মসজিদে এসেও শুধু এই মনে করে বসে থাকেন যে, এখনো তো আযান হয়নি, নামায কীভাবে পড়ব? অথচ নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর আযান না হলেও সুন্নত পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।

তাছাড়া নির্দিষ্ট কয়েকটি সময় ছাড়া অন্য সব সময় নফল নামায পড়া যায়। সুতরাং মসজিদে প্রবেশের পর হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী বসার আগে দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) পড়ে নেওয়া উচিত বা সরাসরি সুন্নত নামায পড়ে নেওয়া উচিত তাহলে তা তাহিয়্যাতুল মসজিদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে।  

মোটকথা ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর শুধু আযান হয়নি-এ অজুহাতে নফল কিংবা সুন্নত পড়া থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়। আযানের সাথে যুক্ত হচ্ছে ফরযের জামাত। এ জামাতের দিকে আহবান  করার জন্যই আযান হল ওয়াজিব পর্যায়ের একটি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ আমল। সুতরাং সুন্নত বা নফলকে এর সাথে যুক্ত মনে করা ঠিক নয়। 

এমনিভাবে কোনো কোনো মহিলাকে দেখা যায়, তারা ঘরে আযানের অপেক্ষায় বসে থাকেন। যদিও তারা জানেন যে, নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেছে। এটিও ভুল প্রচলন।

কারো কারো মাঝে এমনও প্রচলন আছে যে, সূর্যাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও শুধু আযান শোনা না যাওয়ার কারণে ইফতারে বিলম্ব করে। এটাও ভুল, যার সংশোধন অপরিহার্য। এসবের কোনো কোনোটি সম্পর্কে আগেও এ বিভাগে আলোচনা করা হয়েছে। তবু সবগুলো একশ্রেণীর হওয়ায় আগেরগুলোও পুনরোল্লেখ

করা হল।

 

 

 

 

advertisement