শাবান-রমজান ১৪৩০   ||   আগষ্ট-সেপ্টেম্বর ২০০৯

হযরত মাওলানা সরফরায খান ছফদর রাহ.-এর তাসানীফের তালিকা

মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ

হযরত মাওলানা সরফরায খান ছফদর রাহ.-এর ইনে-কালের পর তার জীবন ও কর্মের উপর যে প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল তাতে তাঁর রচনাবলির তালিকা সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে, তালিবে ইলমদের আগ্রহ দেখা গেলে তা আলকাউসারে প্রকাশ করা হবেদুঃখের বিষয়, এ সম্পর্কে মাত্র একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে এবং তা ছিল একজন মুহতারাম মুদাররিসের। শুধু তার চিঠির সম্মান রক্ষার্থে তালিকাটি প্রকাশ করা হচ্ছে।-তত্ত্বাবধায়ক ১. ‘গুলদসতায়ে তাওহীদ’ শিরক, আছনাম, আওছান সম্পর্কে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা, গায়রুল্লাহকে ঐশী ক্ষমতার অধিকারী মনে করে বিপদ-আপদে তার সাহায্যপ্রার্থনার অবৈধতা এবং এ বিষয়ে তাওহীদবিরোধীদের বিভিন্ন বিভ্রানি-র বিশ্লেষণ। জানুয়ারি ২০০৩ ঈসায়ী পর্যন- এর আঠারটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৫৬। ২. ‘তাবরীদুন নাওয়াযির ফী তাহকীকিল হাযিরি ওয়ান নাযির’ এ কিতাবের দ্বিতীয় নাম যা বড় অক্ষরে কিতাবের উপর লিখিত আছে তা হচ্ছে ‘আঁখোঁ কী ঠান্ডক’। মূল আরবী নাম থেকেই কিতাবের বিষয়বস' বোঝা যাচ্ছে। আগস্ট ২০০৩ পর্যন- এই কিতাবের একুশটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। ৩. ‘তাফরীহুল খাওয়াতির ফী রাদ্দি তানবীরুল খাওয়াতির’ তাবরীদুন নাওয়াযির-এর নবম এডিশন প্রকাশিত হওয়ার পর ছূফী মুহাম্মাদুল্লাহ দিত্তাহ নামক একজন বেরেলভী আলেম ‘তানবীরুল খাওয়াতির বিতাহকীকিল হাযিরি ওয়ান নাযির’ নামে একটি কিতাব লিখেছিলেন, যাতে ‘তাবরীদুন নাওয়াযির’-এর আলোচনা তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে খণ্ডন করার প্রয়াস ছিল। হযরত মাওলানা রাহ. এই কিতাবের বিভ্রানি- ও অসততা তুলে ধরে উপরোক্ত কিতাব রচনা করেছেন। রচনার সমাপ্তিকাল ১৩৯৬ হি. মোতাবেক ১৯৭৬ খৃ.। প্রথম প্রকাশ ১৯৭৭ খৃ.। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৭৬। ৪. ‘হযরত মোল্লা আলী ক্বারী আওর মাসআলায়ে ইলমে গায়ব ও হাযির ও নাযির’ হাযির-নাযির বিষয়ে হযরত মাওলানা রাহ.-এর একাধিক কিতাব প্রকাশিত হওয়ার পর বেরেলভী ঘরানার আলিমদের পক্ষ থেকে যেসব আপত্তি উত্থাপিত হয়েছিল তন্মধ্যে একটি এই ছিল যে, মোল্লা আলী ক্বারী রাহ. আম্বিয়ায়ে কেরামকে ‘আলিমুল গায়ব’ ও সর্বত্র ‘হাযির ও নাযির’ বলে বিশ্বাস করতেন! (নাউযুবিল্লাহ) অতএব তার সম্পর্কে এর বিপরীত বিষয় বর্ণনা করা সঠিক নয়! এই বক্তব্যের অসারতা প্রমাণ করে উপরোক্ত পুসি-কাটি রচিত হয়েছে। সম্ভবত ১৩৮৬ হিজরীর রমযান মাসে এই কিতাব রচনা করেছেন। আগস্ট ১৯৮৩ পর্যন- এ রিসালার তিনটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৮ ৫. রাহে সুন্নত (আলমিনহাজুল ওয়াযিহ) এই কিতাবের আলোচনাসমূহের মধ্যে রয়েছে : শরীয়তে দলীলসমূহের পরিচিতি, বিদআতের পরিচয়, দলীলের আলোকে প্রচলিত বিভিন্ন বিদআতের হুকুম এবং বিদআতপন'ীদের বিভ্রানি- ও অপপ্রচারের দলীলভিত্তিক খণ্ডন। কিতাবের শেষে লিখিত তারিখ ‘‘২৬ যিলহজ্জ ১৩৭৬ হি. মোতাবেক ২৫ জুলাই ১৯৫৭ খৃ. বৃহস্পতিবার।’’ ১৩৯৩ হিজরী পর্যন- এর নয়টি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৩১১। ৬. ‘বাবে জান্নাত’ পূর্বোক্ত কিতাবটি প্রকাশিত হওয়ার পর বেরেলভীদের ‘মুফতীয়ে আ’যম’ আহমদ ইয়ার খান (মৃত্যু : ১৩৯১ হি.) ‘রাহে জান্নাত’ নামে একটি কিতাব লিখেছিলেন। এর পর্যালোচনায় এই কিতাব লেখা হয়েছে। ৭. ‘হুকমুল যিকরি বিলজাহর’ ‘রাহে সুন্নত’ কিতাবে ‘যিকর বিলজাহর’ সংক্রান- সংক্ষিপ্ত আলোচনা ছিল। উপরোক্ত কিতাবে এ সম্পর্কে বিস-ারিত ও প্রামাণিক আলোচনা করা হয়েছে। ৪ রজব ১৩৯৪ হিজরী মোতাবেক ২৫ জুলাই ১৯৭৪ খৃ. রচনা সমাপ্ত হয়। এপ্রিল ২০০৩ পর্যন- এর চারটি এডিশন প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২১৬ ৮. ‘ইখফাউয যিকর’ হুকমুল যিকর বিলজাহর কিতাবের উপর যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে তার জবাবে রচিত। সমাপ্তির তারিখ ৩ রবীউল আউয়াল ১৪০১ হিজরী মোতাবেক ১০ জানুয়ারি ১৯৮১ খৃষ্টাব্দ। জুন ২০০১ পর্যন- চারটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮০। ৯. ‘তাস্কীনুস সুদূর ফী তাহকীকি আহওয়ালিল মাওতা ফিলবারযাখি ওয়াল কুবূর’ কবর ও কবর জীবন সম্পর্কে ইসলামী আকাইদ, আম্বিয়া কেরাম আলাইহিমুস সালামের বৈশিষ্ট্য, মাসআলায়ে ছামাউল মাওতা, তাওয়াচ্ছুল ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিভ্রানি-, প্রশ্ন ও আপত্তির দলীলভিত্তিক জওয়াব এই কিতাবের বিষয়বস'। আগস্ট ১৯৯২ পর্যন- এর চারটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৪০। ১০. ‘আলমাসলাকুল মানসূর ফী রাদ্দিল কিতাবিল মাসতূর’ তাসকীনুস সুদূর প্রকাশিত হওয়ার পর এর বিপক্ষে ‘আল কিতাবুল মাসতূর’ নামে একটি কিতাব লেখা হয়েছিল। ওই কিতাবের পর্যালোচনায় উপরোক্ত কিতাবটি রচিত হয়। সমাপ্তিকাল ৩০ জুমাদাল উখরা ১৪০৬ হিজরী মোতাবেক ১২ মার্চ ১৯৮৬ খৃষ্টাব্দ। সেপ্টেম্বর ২০০২ ঈসায়ী পর্যন- এর চারটি এডিশন প্রকাশিত হয়েছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৯৯। (চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

advertisement