একটি কু-রসম : শ্বশুর বাড়ি প্রবেশের আগে নববধুর পা ধোয়ানো
কোনো কোনো এলাকায় প্রথা আছে, শ্বশুরবাড়িতে প্রথম প্রবেশের সময় ঘরের বাইরে নববধুর পা ধোয়ার আয়োজন করা হয় এবং যারা তার পা ধুয়ে দেয় তাদেরকে বখশিশ দেওয়া হয়। মনে করা হয়, এই আচার পালন ছাড়া নববধুকে ঘরে তোলা অনুচিত। এটি একটি কু-রসম। ইসলামে যার কোনো ভিত্তি নেই।
পায়ে ময়লা বা ধুলা-বালি লাগলে তা পরিষ্কার করা যায়, কিন্তু বিনা প্রয়োজনে পা ধোয়ানোর আয়োজন সমর্থনযোগ্য নয়। উপরন্তু এতে রয়েছে নববধুর প্রতি এক ধরনের মানসিক পীড়ন, যা একজন সচেতন নারী সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন। আর কোনো মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া, সে পুরুষ হোক বা নারী, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও হারাম। সাধারণ কোনো অতিথির সাথেও এমন আচরণ করা হলে নিঃসন্দেহে তিনি অপমানবোধ করবেন। তাহলে বাড়ির বধু হিসেবে যাকে গ্রহণ করা হচ্ছে তার সাথে এই আচরণের কী অর্থ?!
কোনো মানুষকে শুধু শুধু অশূচি ও অপবিত্র মনে করার ধারণা হিন্দু-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু ইসলাম মানব ও মানবতাকে অনেক উঁচু মর্যাদা দিয়েছে। সত্ত্বাগতভাবে কোনো মুমিনকে অশুচি ও অপবিত্র মনে করার সুযোগ ইসলামে নেই। অতএব কোনো কুসংস্কার বা ভ্রান্ত বিশ্বাসের শিকার হয়ে নববধুর পা ধোয়ার আয়োজনও ইসলাম সমর্থন করে না। তাছাড়া শ্বশুরবাড়ির এমন কোনো আলাদা মর্যাদা বা বৈশিষ্ট্য নেই যে, সেখানে প্রবেশ করতে হলে পা ধুয়েই প্রবেশ করতে হবে।
ইসলামের পরিচ্ছন্ন আকীদায় যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তাদের উচিত এই জাতীয় কু রসম পরিত্যাগ করা।