যিলকদ ১৪৩১   ||   নভেম্বর - ২০১০

একটি ভুল কথা: বিয়েতে ‘কালেমা’ পড়ানো

তাবলীগের একজন সাথী আমাকে বলেছেন যে, একদিন গাশতে তিনি  এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভাই কালেমা পড়তে জানেন? লোকটি অবাক করে দিয়ে অত্যন্ত আশ্চর্য স্বরে বলল, নাহ! আমি তো এখনও বিয়ে করিনি!!

বিয়ের আক্বদ পড়ানোকে অনেকে কালেমাপড়ানো বলে। কিন্তু এই তাবলীগী সাথীর ঘটনা শুনে বুঝলাম, ‘কালেমা পড়ানোর আরো অর্থ আছে।

সাধারণত কালেমা বলতে কালেমা তাইয়েবাঅর্থাৎ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বা ইসলামের বুনিয়াদী আক্বীদা সম্বলিত কয়েকটি কালেমাকেই বুঝায়। বিয়ের আক্বদের সময় এই ধরনের কোনো কালেমা পড়া বা পড়ানোর নিয়ম নেই। মাসনুন খুতবার পর স্বাক্ষীদের উপসি'তিতে মেয়ে পক্ষের সম্মতিক্রমে খতীব ঈজাব বা প্রস্তাব দেন। ছেলে কাবিলতুকিংবা কবুল করলাম শব্দ বলার সাথে আক্বদ পূর্ণ হয়ে ছেলেমেয়ে উভয়ে স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হয়ে যায়।

এখানে কালেমা পড়ানোর কোনো বিষয় নেই। তবে কাবিলতু বা কবুল করলাম শব্দটিকে যদি আরবী আভিধানিক অর্থে কালিমা বলা হয় তবুও তো এখানে পড়ানোর কিছু নেই। যেহেতু বিভ্রান্তির অবকাশ থাকে তাই বিয়ের আক্বদকে কালেমা পড়ানো না বলাই ভালো।

সবচেয়ে বড় কথা হল, দ্বীন সম্পর্কে কী পরিমাণ অজ্ঞতা ও উদাসীনতা থাকলে একজন মুসলমান কালেমা পড়াকে বিয়ের সময়ের বিষয় বলে মনে করতে পারে তা ভেবে দেখা উচিত এবং এ বিষয়ে আমাদের কোনো করণীয় আছে কি না তাও ভেবে দেখা কর্তব্য। 

 

advertisement