রজব ১৪৩১   ||   জুলাই ২০১০

প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন

আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আ. হতে যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর সকল মানুষ এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল এবং একমাত্র তাঁরই ইবাদত-বন্দেগী করত। তাদের মধ্যে কুফর ও শিরক ছিল না। পরবর্তীতে কুফর-শিরকের মতো মারাত্মক ব্যাধির বিস্তার ঘটার পেছনে মূল কারণ ছিল ছবি ও প্রতিকৃতি। একটি সহীহ হাদীস থেকেও বোঝা যায় যে, পূর্ববর্তী যুগের স্মরণীয় বরণীয় নেককার লোকের মৃত্যু হলে তাদের ছবি ও প্রতিকৃতি বানানো হত। ছবি থেকে সম্মান প্রদর্শন, তা থেকে শ্রদ্ধায় মাথা নোয়ানো, তা থেকে সিজদা করাসহ ধীরে ধীরে এসব প্রতিকৃতির ইবাদত-বন্দেগী শুরু হল। আল্লাহর সাথে তাদেরও কিছু অংশীদারিত্ব জুড়ে দিয়ে তারা মুশরিক জাতিতে পরিণত হল। ইসলামে শিরকের এই উৎসমুখ কঠোরভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিকৃতি নির্মাণ বড় ধরনের গুনাহ, সেখানে নানা উপলক্ষে বিভিন্ন মনীষী ও ব্যক্তিত্বের প্রতিকৃতির সামনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং এ জাতীয় বিভিন্ন উপায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন যে কত জঘন্য অপরাধ তা সহজেই অনুমেয়। এ সকল কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী, যা একদিকে মানুষকে শিরকের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে এইসব মরহুম মানুষের (আল্লাহ সকল বিচ্যুতি ক্ষমা করে তাদের সাথে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মুআমালা করুন) সকল অবদান ও কীর্তিকে কলুষিত করা হচ্ছে। অতএব শরীয়ত নির্দেশিত পন্থাতেই স্মরণীয়-বরণীয় মরহুম মানুষকে স্মরণ ও বরণ করা উচিত। এ পথেই দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের মুক্তি ও সফলতা। অন্য কোনো পথে নয়।

 

advertisement