শাওয়াল ১৪৩৮   ||   জুলাই ২০১৭

একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা : হে আলী! পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না...

লোকমুখে প্রসিদ্ধ, আলী রা.-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আলী! তুমি পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না। কাজ পাঁচটি হল :

১. চার হাজার দিনার ছদকা দিয়ে ঘুমাবে।

২. এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করে ঘুমাবে।

৩. জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।

৪. দু’ ব্যক্তির মাঝের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে।

৫. একটি হজ্ব আদায় করে ঘুমাবে।

এ কথা শুনে আলী রা. বললেন, আল্লাহর রাসূল! এ তো আমার জন্য দুঃসাধ্য কাজ। আমি কীভাবে এগুলো করতে পারি?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

(১) ঘুমের সময় চার বার সূরা ফাতেহা পাঠ করলে তোমার আমলনামায় চার হাজার দিনার ছদকা করার সওয়াব লেখা হবে।

(২) তিন বার কুলহুওয়াল্লাহ সূরা পড়লে তোমার আমলনামায় এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব লেখা হবে।

(৩) তিন বার দরূদ শরীফ পাঠ করলে জান্নাতের মূল্য আদায় হয়ে যাবে।

(৪) দশবার ইসতেগফার পড়লে বিবাদ মিটানোর সওয়াব লাভ হবে।

(৫) চার বার কালেমায়ে তামজীদ পাঠ করলে এক হজ্বের সওয়াব পাওয়া যাবে।

একথা শুনে আলী রা. বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি প্রতিদিনই এই আমল করে ঘুমাবো- ইনশাআল্লাহ!

এ কথাগুলো আমাদের দেশে চাররঙা পোস্টার আকারে পাওয়া যায়। কোনো কোনো বাড়ির দেওয়ালেও লাগানোও দেখা যায়।

এটি একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা। হাদীসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে এ বর্ণনা নেই। এটি আরব-অনারব সকলের মাঝেই প্রসিদ্ধ। কিন্তু এর দালীলীক কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের ভিত্তিহীন বর্ণনা প্রচার করা গুনাহের কাজ। এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

উল্লেখ্য, সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, দরূদ শরীফ, ইসতেগফার ইত্যাদির ফযীলত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। সেসব ফযীলতসমূহই মানুষের মাঝে প্রচার করা উচিত। -ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়েমা ৩৭৮৯১, শায়েখ ছালেহ আলউছাইমিন

 

 

advertisement