মুহাররম ১৪৩৮   ||   অক্টোবর ২০১৬

হযরত পাহাড়পুরী রাহ.

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

আমাদের উস্তায ও মুরুব্বী, আমাদের শায়েখ ও মুরশিদ, উস্তাযুল উলামা হযরত মাওলানা আব্দুল হাই পাহাড়পুরী রাহ. গত ২৫ যিলক্বদ ১৪৩৭ হিজরী (মোতাবেক ২৯ আগস্ট ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ) সোমবার দিন প্রায় তিনটায় আখেরাতের ঘরে চলে গেছেন। তিনি চলে গেলেন, আমরা এতীম হলাম। আরও অসংখ্য মানুষ এবং অনেক দ্বীনী প্রতিষ্ঠান এতীম হল। আল্লাহ আমাদের সবার কাফালাত করুন। তিনিই আমাদের কাফিল ও হেফাযতকারী হয়ে যান। আমীন

পাহাড়পুরী হুযুর রাহ. অনেক গুণ ও বৈশিষ্ট্য এবং অনেক যোগ্যতা ও সৌন্দর্যের অধিকারি ছিলেন। তাঁর দ্বীনী খেদমতসমূহে অনেক বৈচিত্র্য ছিলো। তাঁর সদকায়ে জারিয়ার তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাঁর বহুমুখী কীর্তি ও অবদানের ফিরিস্তিও অনেক লম্বা। তার জীবন ও চরিত্র থেকে গ্রহণ করার মত বিষয় অসংখ্য। তাঁর জীবনের যে দিক শুধু মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়ার তত্ত্বাবধান ও পৃষ্ঠপোষকতার সাথে সম্পৃক্ত, শুধু এটুকুর ইতিহাসও ছোট নয়।

পাহাড়পুরী হুযুর রাহ.-এর জীবন ও কর্ম শুধু এক প্রবন্ধ বা এক কিতাবের বিষয়বস্তু নয়। মূলত এটা অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ ও বিস্তৃত একটি বিষয়। এর রয়েছে বহু দিক, বহু শিরোনাম। এর জন্য প্রবন্ধ-নিবন্ধের এক দীর্ঘ সিলসিলার প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ বিভিন্ন সময়ে এই সিলসিলা চলতে থাকবে। আজ শুধু পাঠকবৃন্দের খেদমতে হুযুরের জন্য দুআ ও ঈসালে সাওয়াবের আবেদন জানানোর জন্য কলম ধরেছি।

হুযুরের মুহতারাম আব্বাজান হযরত মাওলানা আখতারুযযামান পাহাড়পুরী রাহ. ছিলেন দারুল উলূম দেওবন্দের ফাযেল। তিনি ছিলেন শায়খুল ইসলাম হযরত মাদানী রাহ.-এর খাস শাগরিদ এবং খাদিম। তিনি ঐ যামানায় দারুল উলূমের তালিবুল ইলম যখন হাকীমুল উম্মত রাহ. হায়াতে ছিলেন। এ জন্য তিনি হযরত থানভী রাহ.-এর যিয়ারত লাভেও ধন্য হয়েছেন। হুযুর তার আব্বাজানের বিস্তারিত স্মৃতিচারণ মাওলানা আবরারুযযামানকে দিয়ে কলমবন্ধ করিয়েছেন। যা আলকাউসার রজব, শাবান এবং শাওয়াল ১৪৩৭ হিজরীর তিন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে তিনি তাঁর আম্মাজানের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণও কলমবন্ধ করিয়েছেন, যা আলকাউসার রবিউল আউয়াল ১৪৩১ হিজরী সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। তাদের দুজনেরই জীবনীতে আমাদের গ্রহণ করার মত অনেক বিষয় রয়েছে।

হুযুরের কথা বলার একটি প্রিয় বিষয় ছিল, তাঁর শ্রদ্ধাভাজন আসাতিযা ও পূর্ববর্তী আকাবিরের আলোচনা। সব সময় তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করতেন। তাঁর খুব কম মজলিসই আসাতিযা ও আকাবিরের বিভিন্ন গুণ ও বৈশিষ্ট্য, তাঁদের বিভিন্ন ঘটনা ও শিক্ষার আলোচনা থেকে খালি যেতো। এটা একদিকে তো ছিল তাঁর স্বভাবজাত আকর্ষণের বিষয় অন্যদিকে ছিলো তাঁর ফলপ্রসূ তারবিয়াতেরও একটি অংশ। তিনি চাইতেন বর্তমানের তালিবুল ইলম যেন নিজেদেরকে তাদের অতীতের সাথে জুড়ে রাখে এবং নিজেদেরকে পূর্ববর্তীদের রঙে রঙিন করে।

তার এই ধরনের মজলিসের বিভিন্ন বাণী ও শিক্ষা আমার কাছেও কিছু সংরক্ষিত আছে। আমি মাওলানা আবরারুযযামান (হুযুরের ছাহেবজাদা)-কেও অনুরোধ করেছি, তিনি যেন হুযুরের মূল্যবান সব বাণী ও উক্তি খুব ভালোভাবে গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করেন। আল্লাহর শোকর তিনিও এই বিষয়ে সচেষ্ট ও যতœবান ছিলেন।

ইনশাআল্লাহ আমরা সময়ে সময়ে হুযুরের সেসব বাণী ও মালফুজাত এবং হুযুরের চিঠিপত্রের সুন্দর ও উপকারী বিষয়গুলো পাঠকের সামনে পেশ করবো।

হুযুরের শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়েছে তিন মাদরাসায়। প্রথমে পাহাড়পুর ইমদাদুল উলূম মাদরাসায়। এরপর জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগে। এরপর জামিয়া খায়রুল মাদারিস মুলতানে। মুলতানে তিনি এক বছর অবস্থান করেছেন এবং আকাবিরে জামিয়া থেকে ফুনূনের দরস গ্রহণ করেছেন। মুলতান যাওয়ার আগে কিছুদিন তিনি হযরত মাওলানা ইউসুফ বিন্নূরী রাহ.-এর দরসেও শরীক হয়েছেন এবং মুফতী শফী রাহ. ও অন্যান্য আকাবিরের সাক্ষাৎ ও যিয়ারত লাভ করেছেন। মুলতানে অবস্থানকালে তিনি লাহোরেও সফর করেছিলেন এবং হযরত মাওলানা ইদরীস কান্ধলবী রাহ.সহ সেখানকার আরো কয়েকজন আকাবিরের যিয়ারত ও ছোহবত লাভ করেছেন।

হুযুরের শিক্ষকতা জীবনের বড় ও  গুরুত্বপূর্ণ অংশ অতিবাহিত হয়েছে মাদরাসায়ে নূরিয়া আশরাফাবাদে। সেখানে তিনি তাঁর উস্তায ও মুরুব্বী শায়খ ও মুরশিদ এবং তাঁর মুহাতারাম শ্বশুর হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর দীর্ঘ ছোহবত পেয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি হযরত হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর মমতার ছায়া এবং স্বস্নেহে তত্ত্বাবধান লাভ করেছেন। এই ধারা রমযানুল মুবারক ১৪০৭ হিজরীতে হাফেজ্জী হুযুর রাহ.-এর ইন্তিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। এটা তাঁর জীবনের সেই সোনালী অধ্যায়, যাকে তিনি সারা জীবন নিজের সৌভাগ্য ও প্রাপ্তির সম্বল বলে মনে করতেন। তাঁর জীবনের এই অধ্যায়ের ইতিহাস যদি লেখা হয় তাহলে শুধু এর জন্যই একটি আলাদা গ্রন্থ প্রয়োজন।

নূরিয়ার যামানায় যারা তাঁর কাছ থেকে তালীম ও তারবিয়াত হাসিল করেছেন তাদের সংখ্যা কয়েক হাজার। তাদের মধ্যে আমাদের ইলম মোতাবেক বিভিন্ন দিক বিচারে সবার শীর্ষে হলেন মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের শাখছিয়্যাত। যাকে খোদ পাহাড়পুরী হুযুর রাহ. আদীব হুযুর খেতাব দিয়েছেন। পাহাড়পুরী হুযুরের সাথে আদীব হুযুরের সম্পর্কের ধরন কম-বেশি অনুমান করা যাবে আদীব হুযুরের সেসব বিবরণ থেকে যেগুলো বায়তুল্লাহর মুসাফির-এ তাঁর প্রসঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে এসেছে। এর কিছু নমুনা পাওয়া যাবে তাঁর সফরনামা এখনো আছে একটি প্রদীপ-, যা আলকাউসার জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩২ হিজরী/মে ২০১১-এর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে এবং তাঁর আরেক সফরনামা সেই পায়ের একটুখানি ধূলোর জন্য যা আলকাউসার জুমাদাল আখিরাহ ও রজব ১৪৩৫ হিজরীর দুই সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। আততরীকু ইলাল কুরআনিল কারীম প্রথম খণ্ডের শুরুতে পাহাড়পুরী হুযুরের প্রদত্ত দুআ থেকেও কিছুটা অনুমান করা যাবে। আমরা পাহাড়পুরী হুযুরকে সবসময় দেখেছি তাঁর এই শাগরেদের সপ্রশংস আলোচনা করতে। মাদরাসাতুল মাদীনাহ, মাদানী নেসাব, মাদানী মঞ্জিল এগুলো সব পাহাড়পুরী হুযুরেরই দেওয়া নাম। মাদানী নেসাবের একটি কিতাবের দরস দিতে আমি নিজে তাঁকে দেখেছি। একজন তালিবুল ইলমের জন্য এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কী হতে পারে যে, তার উস্তায তার কিতাবের দরস দিয়েছেন!!

...থেকে শাবান ১৪১৬ হিজরী পর্যন্ত তিনি জামিয়া মুহাম্মাদিয়া, মুহাম্মাদপুরে খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। ঐ সময় শেষ তিন বছর আমার বড় ভাইজান হযরত মাওলানা মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহও সেখানে তাদরীসের খেদমত করেছেন। শাওয়াল ১৪১৬ হিজরী (মোতাবেক মার্চ ১৯৯৬) সনে যখন মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকার সূচনা হলো, তখন বিশেষভাবে ভাইজানেরই অনুরোধে পাহাড়পুরী হুযুর রাহ. মারকাযুদ দাওয়াহ্র তত্ত্বাবধানের যিম্মাদারী গ্রহণ করেন। যতদিন সুস্থ ছিলেন, দেহে শক্তি ছিলো ততদিন এ দায়িত্ব তিনি সর্বসুন্দরভাবে আঞ্জাম দিয়ে গিয়েছেন। মুহাররম ১৪২৬ হিজরীতে মাসিক আলকাউসার তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় যাত্রা শুরু করে। আফসোস, দৃশ্যত আজ এই সুশীতল ছায়া আমাদের থেকে সরে গেছে। আমরা নিজেরাও দুআ করছি, পাঠকের কাছেও দুআর আবেদন করছি, আল্লাহ তাআলা যেন আমাদেরকে পাহাড়পুরী হুযুর এবং অন্যান্য আকাবির ও সালাফে সালেহীনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ্র মত ও পথ এবং সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল অবিচল থাকার তাওফীক দান করেন। আমীন

হুযুরের সর্বশেষ স্মৃতি এবং শেষ জীবনের একটি বড় কীর্তি হলো তার প্রতিষ্ঠিত আল মারকাযুল ইলমী। এটা তো ছিলো যেন তার রূহ। আমরা আশা করবো, হুযুরের বড় ছাহেবজাদা মাওলানা আশরাফুয যামান, যার কাছে পাহাড়পুরী হুযুর এই প্রতিষ্ঠানের যিম্মাদারী ন্যস্ত করেছেন, তিনি এর বর্ণিল বৃত্তান্ত ও ইতিহাস সম্পর্কে স্বতন্ত্র প্রবন্ধ রচনা করবেন। হুযুরকে যারা ভালোবাসেন, মুহাব্বত করেন তাদের কাছে আমার দরখাস্ত, তারা যেন এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক কায়েম রাখাকে নিজেদের সৌভাগ্যের সম্বল মনে করেন। কোনো সন্দেহ নেই যে, এ আমাদের উপর হুযুরের একটি হক।

হুযুরের জন্ম ২৬ শ্রাবণ ১৩৫৫ বাংলা, ১০ আগস্ট ১৯৪৮ বুধবার ভোর রাতে। জীবনের শেষ বছর তিনি সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী এবং পূর্ণ খামোশ হয়ে ছিলেন। এর আগের তিন চার বছরও কঠিন অসুস্থতার মধ্য দিয়েই অতিবাহিত হয়েছে। সম্ভবত এসবের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলা তার বাতেনী মরতবা বেশি থেকে বেশি বুলন্দ করতে থেকেছেন। আল্লাহ পাকের খাস তাওফীকে মাওলানা আশরাফুয যামান ও মাওলানা আবরারুয যামান দুই ভাই পূর্ণ সৌভাগ্যের অনুভূতি নিয়ে পরম যতœ ও মমতার সাথে অসুস্থ আব্বাজানের খেদমত করে গেছেন। তাদের সাথে কিছু তালিবুল ইলম ভাইও হুযুরের খেদমতে শরীক ছিলেন। বিশেষ করে শেষ বছর তো কয়েক তালিবুল ইলম লাগাতার নিরবচ্ছিন্নভাবে হুযুরের খেদমতে লেগে ছিলেন। এই দুনো ভাই এবং সে সকল সাথীরা সবাই আমাদের মুহসিন। আমাদের দায়িত্ব ছিলো  হুযুরের খেদমতে থাকা। কিন্তু আমাদের দ্বারা তা হয়নি। এরা সবাই হাসিমুখে পরম যতœ ও মমতার সাথে আমাদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আল্লাহ তাআলা তাদের সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে ভরপুর জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন

কোন সন্দেহ নেই যে, ইনশাআল্লাহ তাদের সবার ভবিষ্যত বড়ই উজ্জ্বল!

হযরতের অসুস্থতার দীর্ঘ সময়ে দেশ-বিদেশের অনেক চিকিৎসক আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে বারডেম ও খিদমাহ হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আল্লাহ তাআলা তাদের সকলকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

শেষ দিকে খিদমাহ হাসপাতালের অবদান সবচেয়ে বেশি। আল্লাহ তাআলা খিদমাহ হাসপাতালকে কবুল করুন এবং আরো বেশি থেকে বেশি উন্নতি দান করুন।

হুযুরের তৃতীয় ছেলে মাহমুদুল হাসান মাদরাসাতুল মাদীনাহ আশরাফাবাদে সপ্তম বর্ষের তালিবুল ইলম। আল্লাহ তাকে সুস্থ ও নিরাপদ, কল্যাণ ও সফলতার যিন্দেগী নসীব করুন। হুযুরের সব মেয়েরাই মাশাআল্লাহ আলেমা। কয়েকজন হাফেজাও। আল্লাহ প্রত্যেককে ঈমান ও আফিয়াতের যিন্দেগী নসীব করুন এবং নিজেদের পূর্ববর্তীদের পথে চলার তাওফীক দান করুন এবং সুস্থ ও নিরাপদ রেখে তাদের আম্মাজানের ছায়া পুরো পরিবারের উপর দীর্ঘ জীবন বাকি রাখুন। আমীন

হুযুরের ইন্তিকাল শুধু একটি পরিবার বা একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য হাদিসা নয়। বরং পুরো উম্মতের জন্যই হাদিসা। প্রত্যেকের জন্যই অনেক বড় হাদিসা। এই মুহূর্তে সবাই সান্ত¡না ও সমবেদনার মুখাপেক্ষী। তারপরও তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন সমবেদনার বেশি হকদার। আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি-

أحسن الله عزاءكم، وعظم أجركم، وغفر لميتكم .

إن لله ما أخذ وله ما أعطى وكل شيء عنده بمقدار.

العين تدمع والقلب يحزن ولا نقول إلا ما يرضى ربنا وإنا بفراقك يا شيخ لمحزونون.

সম্মানিত পাঠকদের কাছে দরখাস্ত যে, যার পক্ষে যেভাবে সম্ভব, যার জন্য যেটা সহজ, সবাই আমরা পাহাড়পুরী হুযুরের জন্য ঈসালে সওয়াব করতে থাকি এবং নিজেদের সবসময়ের দুআয় হুযুর, হুযুরের খান্দান এবং হুযুরের দ্বীনী প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা স্মরণ রাখি।

আজ এ ভূমিকার মাধ্যমেই লেখা শেষ করছি। আল্লাহ তাওফীক দিলে ইনশাআল্লাহুল আযীয হুযুরের জীবনের উপর বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। নিজেরই ফায়দার জন্য, নিজের সন্তান ও শাগরেদদেরকে সনদের সিলসিলার পূর্ববর্তী কড়িটির সাথে যুক্ত করার জন্য।

وما توفيقي إلا بالله عليه توكلت وإليه أنيب.

(৩-১২-১৪৩৭ হিজরী)

 

 

advertisement