জুমাদাল উলা ১৪৩৭   ||   ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সন্তানকে মসজিদে পাঠান

মুহাম্মাদ ফজলুল বারী

মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদ মুমিনের ঈমানের ঘর। মসজিদকে ঘিরে মুমিনের জীবন। মুমিনের দিল মসজিদেই পড়ে থাকে। মুমিন ঘর বাঁধে মসজিদের ধারে। মসজিদের সাথে মুমিনের সম্পর্ক আমরণ। এই সম্পর্কই কাল কিয়ামতের দিন তাকে ঠাঁই করে দিবে আরশের ছায়াতলে।

আমার এক ভাগিনা। সে নামায পড়ে পাঁচ ওয়াক্ত, কিন্তু মসজিদে যায় না। কারণ, যে কারণেই হোক ছোট থেকে মসজিদের সাথে তার আপনত্ব গড়ে ওঠেনি।

আমার খুব কষ্ট লাগে। সে নামায পড়ছে, অথচ তার মাঝে জামাতের গুরুত্ব নেই। মসজিদে না গেলে যে শুধু জামাতের ফযীলত থেকে মাহরূম হতে হয় তা নয়, বরং এ কারণে নামাযের রূহ থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। নামাযের নূর হাসিল হয় না। নামাযে অলসতা আসে। অনেক সময়ই ওয়াক্ত যায় যায় অবস্থায় কোনোরকম ফরযটা আদায় করা হয়। হাঁ, তারপরও যে ব্যক্তি নামায কাযা করছে না তাকে মোবারকবাদ। তার জন্য শুভকামণা; সে যেন মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়তে পারে। আমীন

তাই আমাদের সন্তানদেরকে ছোট থেকেই আমরা মসজিদে পাঠাই। বয়স হওয়ার আগে মুসল্লিদের সমস্যা হবে মনে করলে জামাতের সময় ছাড়া অন্য সময় নিয়ে যায়। মসজিদের সাথে পরিচিত করি, মসজিদের সাথে তার আপনত্ব গড়ে তুলি। আর নামাযের বয়স হওয়ার আগেই বাবার সাথে সাথে তাকেও মাঝেমধ্যে মসজিদে পাঠাই, যাতে বয়স হওয়ার সাথে সাথে সে নিয়মিত মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। আর ছোট থেকেই তার এই মানসিকতা তৈরির চেষ্টা করি যে, নামায মানেই জামাতের নামায; নামায মানেই মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায আদায় করা।

তাকে জামাতের ফযীলত শোনাই; “জামাতের নামায একাকী নামায থেকে সাতাশ গুণ ফযীলত রাখে।” (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৫) তুমিও পাবে সাতাশ গুণ বেশি ছওয়াব!

 

 

advertisement