জুমাদাল আখিরাহ ১৪২৯   ||   জুন ২০০৮

আলকাউসার বিষয়ে কথোপকথন

সূচনাতেই আলকাউসার সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল হতে আন্তরিক সালাম ও মোবারকবাদ। আমি আলকাউসারের একজন নগণ্য শুভাকাঙ্খী। তার উত্তরোত্তর সাফল্য আমার একান্ত কাম্য। এর তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষণধর্মী লেখাগুলো আমাকে ভীষণভাবে বিমোহিত করে। কিন্তু গাফলতি কিংবা ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় সবগুলো লেখা আমার পড়া হয়ে ওঠে না। তবে আলহামদুলিল্লাহ, এবার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ছুটিতে মে ০৮ ইং সংখ্যার সব কটি লেখাই পড়েছি। বড় ভালো লেগেছে সংখ্যাটি আদ্যোপান্ত পড়তে পেরে।

মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেব হুজুরের হজ্ব সফরনামা পত্রিকার শ্রীবৃদ্ধি করেছে কয়েকগুণে। তাঁর লেখার যথাযথ প্রশংসা তুলে ধরা আমার অক্ষম কলমের পক্ষে সম্ভব নয়। হুজুরের বিভিন্ন লেখা থেকে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। বিশেষ করে হুজুরের পুষ্পসমগ্র আমার সামনে তুলে ধরেছে সাহিত্যের এক নতুন দিগন্ত। এ জন্য আমি হুজুরের কাছে অত্যন্ত  কৃতজ্ঞ। আল্লাহর কাছে দুআ করি, তিনি যেন হুজুরের ছায়া আরো দীর্ঘায়িত করেন আমাদের উপর। মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব হুজুর ও ইসহাক ওবায়দীসহ অন্যান্যের লেখা থেকেও শিখতে পারি অনেক কিছু। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন। কিন্তু এত কিছুর পরও অনুভব করছি আমি একটি শূন্যতা। তা হল এ সংখ্যায় মাওলানা যাইনুল আবেদীন সাহেবের অবিদ্যমানতা। তার লেখা ছাপা হয়নি মে সংখ্যায়। তার লেখাগুলো থেকেও পাওয়া যায়  বহু  চিন্তার খোরাক।

সবশেষে আমি সম্পাদক ভাইয়ার কাছে আবেদন করব-মিসবাহ সাহেব হুজুর, যাইনুল আবেদীন সাহেব ও ইসহাক ওবায়দী সাহেবের লেখা যেন থাকে নিয়মিত।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাদের লেখা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

 

জোবায়ের আলমাহমুদ

জামাতে সানাবী সানী

জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা

 

 

advertisement