শাওয়াল ১৪২৯   ||   অক্টোবর ২০০৮

একটি ভুল চিন্তা : ওজরের হালতে কি মাসআলা নেই?

কারো কারো চিন্তার ধারাই অতি অদ্ভূত। তারা যেন মনে করেন, ওজরের হালতে মানুষ শরঈ বিধিবিধানের অধীন থাকে না। এজন্য তারা একটা নিয়ম বানিয়ে নিয়েছে যে, ওজরের সময় কোনো মাসআলা নেই! তাদের ধারণা যেন এই যে, ওজরের কারণে মানুষ সম্পূর্ণ আযাদ হয়ে যায়, কোনো ধরনের নিয়মনীতির অধীন সে থাকে না।

এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং এই চিন্তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সঠিক বিষয় এই যে, ওজরের হালতেও মানুষ শরীয়তের অধীন থাকে। মাজুরের জন্যও শরীয়তে বিধান রয়েছে, যা ফিকহের কিতাবসমূহে বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত হয়েছে। ওজরের মাসাইলের প্রসিদ্ধ শিরোনাম হল আররুখসা। এই শিরোনামে স্বতন্ত্র কিতাবপত্রও রচিত হয়েছে।

এজন্য মুমিনের করণীয় এই যে, ওজরের বাহানায় শরীয়তের বিধানের ব্যাপারে অবহেলা না করা; বরং প্রথমেই জেনে নেওয়া উচিত যে, যে বিষয়কে ওজর মনে করা হচ্ছে শরীয়তের দৃষ্টিতে তা ওজর কি না। যদি শরীয়তের দৃষ্টিতেও তা গ্রহণযোগ্য ওজর হিসেবে গণ্য হয় তাহলে এ অবস্থায় শরীয়তের বিধান কী তা জানা এবং সে অনুযায়ী আমল করা কর্তব্য। ওজরকে বাহানা বানানো কিংবা সঠিক মাসআলা না জেনে অনুমানের উপর কাজ করা কোনোটাই উচিত নয়। ইনসানের কোনো অবস্থাই শরীয়তের বিধান থেকে মুক্ত নয়। এজন্য এ ধারণার কোনোই অর্থ নেই যে, ওজরের হালতে কোনো মাসআলা নেই।

হাঁ, ওজর যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সাধারণ অবস্থার বিধান থেকে এ অবস্থার বিধান ভিন্ন হয়ে থাকে। তাহলে বলা যায় যে, ওজরের মাসায়েল ভিন্ন; এমন নয় যে, ওজরের কোনো মাসআলাই নেই, এই অবস্থায় যা ইচ্ছা তা-ই বলা যাবে, যা ইচ্ছা তা-ই করা যাবে! নাউযুবিল্লাহ!

 

 

advertisement