শাওয়াল ১৪২৯   ||   অক্টোবর ২০০৮

হযরত মাওলানা আতাউর রহমান খান রাহ : কিছু গুণ, কিছু বৈশিষ্ট্য

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

২৬ রজব ১৪২৯ হিজরী মোতাবেক ৩১ জুলাই ২০০৮ ঈসায়ী বৃহস্পতিবার ফজরের নামায সমাপ্ত হওয়ার পর মোবাইল ফোনে মুহতারামী ওয়া মুকাররমী জনাব মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নাদভী-এর মুকালামায়ে ফাইতার চিহ্ন দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। সংবাদ পেলাম যে, তাঁর ওয়ালিদ হযরত মাওলানা আতাউর রহমান খান ছাহেব সে রাতেই আল্লাহ তাআলার কাছে চলে গিয়েছেন। সংবাদটি শুনে বজ্রাহত হই, কিন্তু ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বলার চেয়ে অধিক কিছু করার ছিল না। অবশ্য এতেই সব কিছু রয়েছে এবং স্বান্ত্বনা লাভের সকল উপকরণ এতে বিদ্যমান রয়েছে যদি আল্লাহ আমাদের সেই অন্তর্দৃষ্টি দান করেন। সঙ্গে সঙ্গে আলমারকাযুল ইসলামীতে গিয়ে তাঁর আখেরী যিয়ারত করি। সেখানেই তাঁকে গোসল দেওয়া হয় এবং কাফন পরানো হয়।

ফেরার কিছুক্ষণ পর আরেকটি হৃদয়বিদারক সংবাদ পৌঁছল যে, কিছুক্ষণ আগে আমার অত্যন্ত প্রিয়জন, একান্ত বন্ধু ও দীর্ঘ দিনের সঙ্গী হাফেয মাওলানা ইউসুফ ইবনে আবুল খায়ের (নাযেম, মাদরাসা ভবানীপুর, গোপালগঞ্জ) এই নশ্বর ভুবন ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন!

ان لله ما أخذ وله ما أعطى وكل شيء عنده بمقدار

মাওলানা ইউসুফের সহপাঠী হওয়ার সৌভাগ্য যেহেতু আমার হয়েছে তাই ইচ্ছা হয়েছে, তার সম্পর্কে আমি আমার অনুভূতি পাঠকবৃন্দের সামনে পেশ করব, কিন্তু হযরত মাওলানা আতাউর রহমান খান ছাহেব আকাবির-প্রবীণদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর সাক্ষাত ও সাহচর্য লাভের সৌভাগ্য যদিও আমার হয়েছে, কিন্তু দীর্ঘ সাহচর্যের সুযোগ হয়নি। আর বিস্তারিত জানা ছাড়া কিছু লিপিবদ্ধ করা পাঠকবৃন্দের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার কারণ হতে পারে তাই আমি ছাহেবযাদা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর কাছে উপস্থিত হলাম, মারকাযুদ দাওয়া ও আলকাউসারের  সঙ্গে যার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তার কাছে উপস্থিত হয়ে ওয়ালিদ ছাহেব সম্পর্কে কিছু শোনার আগ্রহ প্রকাশ করলাম। অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি অত্যন্ত উদ্দীপনার সাথে বিভিন্ন প্রশ্নের জওয়াব দিয়েছেন এবং দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মরহুমের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। টেপরেকর্ডার থেকে তার আলাপচারিতার সারসংক্ষেপ প্রস্ত্তত  করা হয়েছে। এর প্রথম কিস্তি পাঠকবৃন্দের সামনে রয়েছে।

বুযুর্গ ও পূর্বসূরীদের জীবন ও অবস্থা যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অবলোকন করা যায় তাহলে তাতে শিক্ষণীয় ও গ্রহণীয় অনেক কিছু রয়েছে।

আমার অনুরোধে হযরত রাহ. একবার মারকাযুদ দাওয়ায় তাশরীফ এনেছিলেন। আমি দরখাস্ত করেছিলাম, আপনার দেখা আকাবির সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন। আমি অত্যন্ত বিস্মিত হয়েছি যে, দুই ঘন্টারও অধিক সময় তিনি শুধু এ বিষয়েই বলেছেন। একটা কথাও এর বাইরে বলেননি।

তাঁর সেই মূল্যবান বয়ান আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। ইনশাআল্লাহ সবার উপকারের জন্য তা আলকাউসারেও প্রকাশ করা হবে। তাঁর বৈশিষ্ট্য ও বিশিষ্টতা তাঁর কাছের ও তার সমশ্রেণীর ব্যক্তিরাই অনুধাবন করতে পারেন তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, তিনি দ্বীনের নিঃস্বার্থ সেবক ও একজন নিরব চিন্তক ছিলেন। যখনই তাঁর সাক্ষাতে গিয়েছি মনমগজে তার ওয়াকার ও গাম্ভীর্য এবং শরাফত ও আভিজাত্যের ছাপ নিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে আপন নৈকট্য দান করুন এবং তাঁর ফয়েয ও বরকত কিয়ামত পর্যন্ত জারী রাখুন। আমীন।

-তত্ত্বাবধায়ক

 

আমার আববার জন্ম, তাঁর পুরো জীবনটাই তাঁর আববার অর্থাৎ আমার দাদার পীর হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ.-এর কারামত। তাঁর সরাসরি ফয়েয ও দুআ আমরা অনুভব করি। আমরা এটা আমাদের দাদা-দাদীর মুখে শুনেছি যে, তাদের বাচ্চা কাচ্চা/সন্তানাদি ছোট থাকতেই মারা যেত। আববারা ছয় ভাই-বোন ছিলেন। এর মধ্যে দুই ভাই এবং তিন বোনই মারা গেছেন বাল্য বয়সে। দাদার জন্য এটা ছিল একটা পরীক্ষা। পাঁচ সন্তান এভাবে মারা যাওয়া। দাদার কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ। সেখান থেকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ১৮/২০ মাইল দূরে। যখন আববার জন্মের খবর আসল তখন তিনি তাঁর শায়েখের কাছে গিয়ে খুব বেদনার সাথে বললেন, হুজুর! আমি তো বাড়ি যেতে চাচ্ছি, কি জানি কী খবর নিয়ে আসতে হয়। কারণ এরকম তিন/চারবার হয়েছে যে, তিনি সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে বাড়িতে যান। গিয়ে দেখেন মৃত। অথবা পরে মারা গিয়েছে। অথবা ফিরে আসেন আসার পরেই মারা যায়। আববার জন্মের সময় তিনি রওয়ানা হচ্ছেন এবং খুব তরদ্দুদের সাথে সংশয় নিয়ে শায়েখকে বলছেন যে, হুজুর! আমি বাড়িতে যাব কি না? তিনি বললেন- এবার যান, নাম রাখবেন আতাউর রহমান, ইনশাআল্লাহ বাঁচবে। আমাদের এক চাচার নাম ছিল আবদুর রহমান, আরেক চাচার নাম ছিল আজিজুর রহমান। তারা দুজনই মারা গেছেন। আর আববার নাম দাদার শায়েখ রেখেছেন আতাউর রহমান। দাদা বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে, আববা মৃতের মতো। সবাই সন্দেহে ছিল যে, জীবিত না মৃত। সে সময় তো অত উন্নতমানের চিকিৎসা ছিল না তারপর আবার গ্রাম। সারাদিন সন্দেহে থাকার পর সন্ধ্যায় সবাই বলল, বাচ্চাটা জীবিত। কান্না হয়েছে, আওয়াজ হয়েছে।

যখন আববার বয়স ৩/৪ বছর তখন দাদা আববাকে ও দাদীকে নিয়ে শহরে চলে আসলেন। শহরে আসার পর থেকে নিয়ে হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ. -এর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই ছোট্ট বালকটাকে তাঁর সন্তান বানিয়ে রেখেছেন। মানুষ তো ইসতিলা হিসাবে খলীফা  বলে, মুজায বলে, বাংলায় মানসপুত্র বলে। মানসপুত্র মানে আমি যেরকম সন্তান কল্পনা করি সে এ রকম। তারপর রূহানী আওলাদ বলে। তো আববা সবকিছু ছিলেন। মাওলানা আতহার আলী রাহ.-এর খলীফা ছিলেন যারা তারা আধ্যাত্মিক, যারা ছাত্র ছিলেন তারাতো ইলমী ছাত্র, কিন্তু আববা ছিলেন তাঁর মানসপুত্র। মানসসন্তান। একেবারে জন্মের পর থেকে আববার কোনো ভুল ত্রুটি হলে তিনি মারতেন। আর এমন হয়েছিল যে, শায়েখ যদি মেরেও ফেলেন তবুও দাদা কিছু বলবেন না। এমন হয়েছে যে, শায়েখ মেরেছেন তো দাদাও আবার মেরেছেন। তো অনেক সময় ফিতরীভাবে দাদী বলতেন, হুজুর মেরেছেন, তো আপনি আদর করবেন, আপনি তো বাপ। তিনি বলতেন যে, না। হুজুর যদি তাকে মারেন তাহলে আমি তাকে আদর করব না। মানে শায়েখের মতের কাছে তার নিজের কোনো মতামত ছিল না। এভাবে তার উপলব্ধির বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাওলানা আতহার আলী রাহ.কে দেখতেন, সঙ্গে থাকতেন, খেদমত করতেন। শুধু খাদেম হিসাবে না; বরং নাতী হিসাবেও। এমনও হয়েছে যে, তিনি বলতেন, বাজার থেকে মিষ্টি আন, দুধ আন, ফল-ফ্রুট আন। এনে তাকে খাওয়াও। এভাবেই লালন-পালন করতেন।

 

যখন তিনি ফারেগ হলেন, ফারেগ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান যাওয়ার একটা রেওয়াজ ছিল, দেওবন্দ যাওয়ার রেওয়াজ ছিল। তখন আতহার আলী রাহ. বললেন, তুমি আমার লোক, তুমি না থাকলে আমার হাত ভেঙ্গে যায়, লাঠি থাকে না। বিদেশ যাওয়ার দরকার নাই। সব ইলম আল্লাহ এখানেই দিবেন। এই বলে তিনি যেতে দেননি। অন্য দরসগাহে যাওয়ার দরকার নেই সব ইলম আল্লাহ এখানেই দিবেন। তাঁর কথাতেই আববা কিশোরগঞ্জের পরে আর কোথাও পড়েননি। কিন্তু যে সকল আলেম বিদেশ গিয়েছেন লেখাপড়া করতে তাদের চেয়ে উলূমে দ্বীনীয়া, উলূমে আছরিয়্যাহ এবং আগেকার যুগের ইলম যেগুলো দরসগাহে পড়ায় না সবকিছুই আল্লাহ পাক তাকে দিয়েছিলেন। আর ব্যক্তিগতভাবে আলাদা অনেক মালূমাত, আলাদা ইহসাস, ইদরাক আল্লাহ তাকে দিয়েছেন যেগুলো অনেক দরসগাহে পাওয়া যায় না।

 

হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ.-এর সাথে তার আন্তরিক ও আত্মিক সর্ম্পক এমন ছিল যে, কোনো স্থানে গিয়ে তিনি বয়ান শুরু করে মাঝখান দিয়ে  থেমে যেতেন, যে বাকী কথা আতাউর রহমান বলবে। তিনি বয়ান দিতেন আর হযরত একশ ভাগ সমর্থন দিতেন যে, এটাই আমার কথা। রাজনৈতিক জবাব, পলিসি, পাকিস্তানের দস্ত্তর কী হবে। নেযামে ইসলামের ব্যাখ্যা, ইসলামী মাআশিয়াত কী, ইসলামের মুআশারাতী নেযাম কী, ইসলামের শখছী, মিরাছী নেযাম-এসমস্ত বিষয় আসত পার্লামেন্টে। এগুলির আববা যে ব্যাখ্যা দিতেন তাতে তিনি খুশি হতেন আর আববাও বলতেন, আমি আগে জানতাম না, কিন্তু যখন দাড়াতাম তো বলতে থাকতাম কিন্তু বলার পর যখন এগুলো নোট হত, রোসালা বের হত তখন দেখতাম আর আশ্চর্য হতাম যে, আমি এগুলো কীভাবে বললাম! জীবনে বহুবার এমন হয়েছে যে, মাওলানা নিজে ক্লান্ত তো বলতেন যে, আমার কথা আতাউর রহমান বলবে। এরকম শত শত বক্তৃতা তিনি করেছেন।

 

আববা মাওলানা ছিদ্দীক আহমদ সাহেব (খতীবে আযম রাহ.) দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন। তিনি বলতেন, তার চিন্তা, কথা বলা আমার ভালো লাগে। তিনি সেগুলো অনুসরণ করতেন।

 

তার মধ্যে দ্বীনদারী, দ্বীনী ফিকির বা দ্বীনী মেযাজ এমন ছিল যে, মনে হত এটা তার ফিৎরাত। আলাদাভাবে তিনি সুন্নতের উপর আমল করছেন, আলাদাভাবে তিনি একটা সাধনা করছেন এ রকম মনে হত না। তার তবিয়তই ছিল কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক চলা। তিনি বলতেন, ইসলামের ইতিহাসে আমার কাছে দুজনকে সবচেয়ে বড় আলেম মনে হয়। আর সব আলেম আমার কাছে একটা ছকের মতো মনে হয়। একেকজন একেক ফনের মধ্যে বড়। আর দ্বীনের বুঝ ও পূর্ণ খিদমতের দিক থেকে আমার কাছে দুজনকে বড় আলেম মনে হয়। আমরা জিজ্ঞেস করতাম, সে দুইজন কে? তিনি বলতেন, একজন হলেন শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রাহ.।

 

আমার বয়স তো এখন চল্লিশের উপরে। ৩৫ বছর যাবৎ আববাকে দেখছি। এই ৩৫ বছরের মধ্যে ছাত্রজীবনে দূরে থাকতাম আবার পরে কর্মজীবনেও দূরে থাকতাম। মধ্যে যখনই আমরা বাসায় থাকতাম, আববা আমাদেরকে নিয়ে খানা খেতেন। আববা আলাদা আমরা আলাদা এরকম কোনো সময় হত না। বসলে আমাদেরকে নিয়ে আলাপ করতেন সব সময়, ঘরেও আমাদের সঙ্গে, খানার সময়েও আমাদের সঙ্গে। আববার বর্তমানে আমরা বন্ধুদের সাথে থাকতাম না। এবং আববাও আমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতেন না। আমরা সন্তান, আমাদের সাথেই তিনি তার ইলমী, সামাজিক সব আলাপ করতেন।  বিশেষ করে আমাকে সঙ্গে নিয়ে খানা খাওয়ার সময় সব আলাপ করতেন।

এর মাঝে তাকে কোনোদিন একটা  গীবতও করতে দেখিনি। এটা কিন্তু বিরাট আশ্চর্য ঘটনা। কারণ গীবত মানুষের একটা স্বাভাবিক রোগ। অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকে গীবতের আলাপে লিপ্ত হয়। এটা যে গীবত খেয়াল করে না। আর আববা আমার সাথে আমার ৩৫ বছরের যিন্দেগীতে কোনো দিন গীবত কাকে বলে এরকম কোনো আলোচনাই করেননি। কোনো কোনো সময় এমন হত যে, কারো সাথে আমাদের বিরোধ আছে তো আমরা কথা উঠাতাম। এক দুই মিনিট কথা চলার পর আববা তার একটা বড় গুণ বলে দিতেন। বলতেন যে, তার মাঝে তো অমুক বড় গুণ আছে। এটা শিক্ষণীয়, এটা আমাদেরও করা উচিত। ঐ কথাটা বলার পরে তার বিরুদ্ধে আর কিছু বলার চিন্তা মন থেকে দূর হয়ে যেত।

তাঁর আসল যে গুণ ছিল তা হল সততা। আববাকে আমরা দেখেছি যে, তিনি বাইরে সাধারণত কথা কম বলতেন। মানুষকে ভালো মন্দ কিছু জানাতেন না। কিন্তু তিনি যেভাবে জীবন যাপন করতেন তা দেখলে বিশ্বাস হবে না। তিনি সহায়-সম্পদ ছাড়া ছিলেন এবং আসলেই সম্পদবিহীন। এমন নয় যে, বাইরে দেখতে সম্পদ নেই, আসলে সম্পদ রয়েছে। আববার পৈতৃক আমলের যে সহায়-সম্পদ ছিল তাতে তার সারা জীবনে কোনো কিছু যোগ হয়নি। এর জন্য কোনো আফসোসও ছিল না। চেষ্টাও করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আমার রিযিক বা তাকদিরে যা আছে তাই হবে। আববা আমাকে যে অবস্থায় রেখে গেছেন আমি ভালো চলছি আলহামদুলিল্লাহ।

ইন্তেকালের পর পকেটে ৩০০ টাকা পাওয়া গেছে। এর মাঝে ব্রিফকেস খুললাম এর মধ্যে ৫০০ টাকা। লেখা আছে ছদকার জন্য। আর ১৭০০ টাকা যেহেতু কিছু লেখা নেই তো আমরা ধরে নিতে পারি যে, এটা তাঁর। তাঁর মৃত্যুর সময় কোনো ঋণ পাওয়া যায়নি। তিনি একজন সামাজিক লোক ছিলেন, রাজনৈতিক লোক ছিলেন। তার সাথে মানুষের লেন-দেন থাকা স্বাভাবিক। আমাদেরও জানা। তিনি ছোট বড় সবকিছু নোট বইয়ের মধ্যে লিখে রাখতেন। এটা তার অভ্যাস ছিল। এখানে টাকা-পয়সার হিসাব লেখা থাকত। ব্যাংকে মাদরাসার এত টাকা ...। তার নিজের কোনো ব্যাংক একাউন্ট ছিল না। একটা একাউন্ট রাখতেন সংসদে থাকার সময় বেতন উঠানোর জন্য।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

 

advertisement