রজব ১৪৩৬   ||   মে ২০১৫

শিশুর হৃদয়ে ঈমানের বীজ

আমাতুল্লাহ

মায়ের কোলকে বলা হয়েছে শিশুর প্রথম পাঠশালা। এ সময়ের শিক্ষা তার সারা জীবনের উপর প্রভাব ফেলবে। তাই শিশুকে যতটা সম্ভব ভাল ভাল কথা এবং উত্তম আখলাক শিক্ষা দেওয়া মায়ের কর্তব্য। তার সাথে বেশি বেশি ঈমানী কথা বলা এবং আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ইয়াক্বীন ও মুহাব্বাত পয়দা করা বড় জরুরী। এর মাধ্যমে তার দিলে ঈমানের বীজ বপন হবে। সেই বীজ একমসয় বিশাল বৃক্ষে পরিণত হবে। অতপর তা থেকে ছড়িয়ে পড়বে উত্তম আমল ও সুন্দর আখলাকের শাখা-প্রশাখা এবং তার জীবনব্যাপী থাকবে সেই বৃক্ষের শীতল ছায়া।

কিন্তু দুখের বিষয়, খুব কম মা-ই এ বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেন। শিশুর এ মূল্যবান সময়টিকে তারা অহেতুক কাজের মধ্যেই পার করে দেন। যখন তাকে কালিমা শেখানো দরকার তখন শিক্ষা দেওয়া হয় ডগ, ক্যাট, হাট্টি মাটিম টিম...। আর এসব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যেন শিশুর প্রতি এগুলোই তাদের কর্তব্য।

ফলে সেই শিশু ঈমানী শিক্ষা আর পায় না। আল্লাহর প্রতি তার আস্থা পয়দা হয় না। এমনকি নবীর পরিচয়ও সে জানতে পারে না। এ সম্পর্কে অতি দুঃখজনক একটা ঘটনা শুনেছি। এক শিশুকে জিজ্ঞাসা করা হল, বল তো আমাদের নবীর নাম কী? সে জবাব দিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (নাউযুবিল্লাহ) । নবীর পরিচয় তাকে না শেখালেও রবীন্দ্রনাথের ভক্তি ঠিকই তার হৃদয়ে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। আফসোস! মায়েরা আজ কোথায় ঠেলে দিচ্ছে তাদের কলিজার টুকরা সন্তানকে।

যে উম্মতের চিন্তায় ব্যাকুলতায় নবীজী সারা জীবন কেঁদেছেন, আর হাশরের ময়দানে উম্মতী উম্মতী বলে পেরেশান হবেন। সেই উম্মত আজ চিনতে পারছে না তাদের নবীকে। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে। প্রতিটি শিশু তার মা-বাবার জন্য আল্লাহর অনেক বড় নিআমত, তাঁর পক্ষ থেকে আমানত। তাই যে আল্লাহ তাদেরকে এতবড় নিআমত দান করেছেন মা-বাবার উচিত তাঁর পরিচয় শিশুকে শিক্ষা দেয়া এবং আল্লাহর দেয়া এ আমানতকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।

 

 

advertisement