একটি ভুল কথা :শিক্ষক ছাত্রকে শরীরের যে স্থানে আঘাত করবে তা জান্নাতে যাবে!
কিছু মানুষকে বলতে শোনা যায়,পড়াতে গিয়ে বা তারবিয়াত করতে গিয়ে শিক্ষক যদি ছাত্রকে প্রহার করেন তাহলে শরীরের যে স্থানে প্রহার করা হয়েছে ঐ স্থান জান্নাতে যাবে বা জাহান্নামে যাবে না।
একথার কোনো ভিত্তি নেই। কাউকে শিক্ষক প্রহার করলে হয়ত সান্ত¦না দেওয়ার জন্য তার হিতাকাঙ্খী কেউ একথাটি বলে-শিক্ষক প্রহার করলে মন খারাপ করার কিছু নেই। কারণ,শিক্ষক ছাত্রকে শরীরের যে স্থানে আঘাত করবে তা জান্নাতে যাবে বা জাহান্নামে যাবে না।
উদ্দেশ্য ভালো হলেও এটি একটি ভিত্তিহীন কথা। তবে কোনো শিক্ষক যখন পড়ার কারণে বা আদব শিক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রকে প্রহার করেন এটা তিনি ছাত্রের ভালোর জন্যই করেন। সুতরাং ছাত্রের উচিত মাথা পেতে তা গ্রহণ করা। জিদ না করে যে কারণে তাকে প্রহার করা হয়েছে তা শুধরে নেওয়া।
তেমনি পিতা-মাতা, মুরব্বী যদি ছোটকে কখনো বিশেষ কারণে প্রহার করেন সেটাও তার ভালোর জন্যই করেন, নিজের ভালোর জন্যই তা মেনে নেওয়া উচিত।
এখন উস্তায বা পিতা-মাতা কতটুকু প্রহার করতে পারেন কিংবা কখন পারেন কখন পারেন না ইত্যাদি ভিন্ন আলোচনা। শরীয়তে এর মূলনীতি রয়েছে। ছাত্র বা সন্তানের এর পিছনে পড়া উচিত নয়। তার উচিত, মুরব্বীর সাথে বেআদবী না করা এবং যে কারণে তাকে প্রহার করা হয়েছে তা সংশোধন করা।