একটি নামের ভুল : ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ
অনেক দ্বীনদার মানুষই ইবনুল কায়্যিম রাহ.-এর নাম শুনেছেন। তাঁর নাম, মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর। উপাধী, শামসুদ্দীন। (সংক্ষেপে) ইবনুল কায়্যিম নামেই তিনি প্রসিদ্ধ। তিনি ৬৯১ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁর ইমেত্মকাল হয় ৭৫১ হিজরীতে। অনেকেই তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব যাদুল মাআদ-এর নাম শুনে থাকবেন। তাঁকে ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’ও বলা হয়।
কিন্তু কিছু মানুষ তাঁকে ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’-এর স্থলে ‘ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ’ বলে বা লিখে থাকেন । এটা ভুল। হয়ত বলতে হবে, ‘ইবনুল কায়্যিম’ অথবা ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’।
তাঁর পিতা দামেস্কের ‘আলমাদরাসাতুল জাওযিয়্যাহ’-এর কায়্যিম (তত্ত্বাবধায়ক, দায়িত্বশীল) ছিলেন। একারণে তাঁকে ‘কায়্যিমুল জাওযিয়্যাহ’ (জাওযিয়্যাহ মাদরাসার কায়্যিম বা তত্ত্বাবধায়ক) বলা হত। সে হিসেবে তাঁর সন্তানকে ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’ (কায়্যিমুল জাওযিয়্যার ছেলে, জাওযিয়্যাহ মাদরাসার তত্ত্বাবধায়কের ছেলে) বলা হয়।
কিন্তু অনেকেই ‘জাওযিয়্যাহ’কে তার নিসবতি নাম (এলাকা, বংশ বা পেশা ইত্যাদীর সাথে সম্পর্কযুক্ত নাম) মনে করেন। তারা ভাবেন না যে, সে ক্ষেত্রে ‘জাওযিয়্যাহ’ (মুআন্নাছ) না হয়ে ‘জাওযী’ (মুযাক্কার) হওয়া দরকার ছিল। যেমন, আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী। সম্ভবত তারা ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’-এর শেষ অংশ (জাওযিয়্যাহ)-কে ‘ইবনুল জাওযী‘ রাহ.-এর নামের ‘জাওযী’-এর মত নিসবতি নাম মনে করেন। যা নিতান্তই ভুল ধারণা।
যাহোক, হয়ত বলতে হবে, ‘ইবনুল কায়্যিম’ অথবা বলতে হবে ‘ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যাহ’। ‘ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ’ ভুল।