সফর ১৪৩৫   ||   ডিসেম্বর ২০১৩

দৃষ্টি আকর্ষণ

1. আলকাউসার শাওয়াল ১৪৩৪ হি., মোতাবেক আগস্ট ২০১৩ ঈ. সংখ্যায় ৪৭ নম্বর পৃষ্ঠায় আলোচ্য মাসআলাটি মুজতাহাদ ফীহ হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে-

এতে এমন কোনো নস নেই, যা এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন, যার ভিত্তিতে ফকীহগণের মাঝে ইজমা সম্পন্ন হতে পারে।

এখানে রেখাযুক্ত বাক্যটি এমন হবে-‘‘ইজমা সম্পন্ন হওয়া নির্ধারিত হয়ে যায় এবং ইজতিহাদের অবকাশ শেষ হয়ে যায়।’’

এখানে ভুলটি করেছি নযরে ছানীর সময়। আসলে নযরে ছানীরও নযরে ছানী দরকার।

আল্লাহ তাআলা আমাকে ক্ষমা করুন। যে তালিবুল ইলম ভাই ভুলটির প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন (তার নাম আমার জানা নেই) আল্লাহ তাআলা তাকে উত্তম বিনিময় দান করুন। আরো বেশি ফিকহ ও হিকমত নসীব করুন। আমীন।

2.   যিলকদ ও যিলহজ্ব ১৪৩৪ হি. সংখ্যায় আলমুহীতুর রাযাভী-এর মুসান্নিফ রযীউদ্দীন সারাখসী রাহ.-এর মৃত্যুসন লেখা হয়েছে ৫৪৪ হিজরী। একাধিক কিতাবে এমনটিই আছে। কিন্তু আমাদের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মাদ হারুন [কুমিল্লা] -জাযাহুল্লাহু খাইরান- আমাকে বলল, খাইরুদ্দীন যিরিকলী রাহ.-এর ‘‘আলআলাম (৭/২৪) এ তার মৃত্যুসন লেখা হয়েছে ৫৭১ হিজরী। যিরিকলী রাহ. এই সন লিখেছেন নাহরুয যাহাব ফী তারীখি হালাব (২/২২২)-এর উদ্ধৃতিতে। আর এর সমর্থনে রযীউদ্দীন রাহ.-এর জীবনের দুয়েকটি ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাই মনে হচ্ছে, যিরিকলী রাহ.-এর লিখিত সনটিই রাজেহ বা অগ্রগণ্য।

3.  উম্মাহ্র ঐক্য : পথ ও পন্থা-এর দ্বিতীয় এডিশনের ২০১ নং পৃষ্ঠায় চতুর্থ দরখাস্তের অধীনে মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাহ.-এর একটি বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাহ. ইমাম বুখারী রাহ.-এর উস্তায ছিলেন। আসলে বিষয়টি এমন নয়; বরং তিনি বুখারী রাহ.-এর বেশ কয়েকজন উস্তাযের উস্তায।

সহীহ বুখারীতে ইমাম বুখারী রাহ. আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাহ.-এর হাদীস স্বীয় উস্তাজগণের সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে ওয়াহাব রাহ.-এর ইন্তিকাল হয়েছে ১৯৭ হিজরীতে। আর ইমাম বুখারী রাহ.-এর জন্মই হয়েছে ১৯৪ হিজরীতে।

এই ভুলের বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার উস্তাযুল হাদীস জনাব মাওলানা যিকরুল্লাহ খান। আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

4.    গত সংখ্যায় শিক্ষার্থীদের পাতায় মুজামুল মুআল্লিফীন-এর মুসান্নিফ ওমর রেযা কাহহালার আলোচনা এসেছে। কিন্তু সেখানে কাহহালার পরিবর্তে কুহহালা (কাফ-এ পেশ) দিয়ে লেখা হয়েছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি আমার উস্তাযগণের মুখে কাহহালা (কাফ-এ যবর) শুনেছি। যদি কোনো তালিবুল ইলমের এই নামের পূর্ণ তাহকীক করার সুযোগ হয় তাহলে আমাকে অবগত করার অনুরোধ রইল।-তত্ত্বাবধায়ক 

 

 

 

advertisement