সফর ১৪৩৫   ||   ডিসেম্বর ২০১৩

‘ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান’ : বইটি সম্পর্কে একটি প্রশ্ন ও তার উত্তর

প্রশ্ন : মুহতারাম! ‘ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞাননামে সদ্য প্রকাশিত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুন্দর একটি বই হাতে পেলাম।

লেখক : . মুহাম্মাদ মুশাররফ হুসাইন।

পিএইচডি (ফার্ম), পোস্ট-ডক (জাপান)

হারবাল মেডিসিন (স্বর্ণপদক প্রাপ্ত)

আলোচক, ইসলামের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞান, ইসলামিক টিভি

ঢাকা, বাংলাদেশ।

প্রকাশক : এস এম রইস উদ্দীন

পরিচালক : বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ

১২৫ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা

ঢাকা-১০০০

প্রথম প্রকাশ : ৪ই জিলহজ্জ ১৪৩৪ হি. ১০ই অক্টোবর ২০১৩ .

বইয়ের ইনার ৪র্থ পেজে উল্লেখ আছে-

‘‘এই বিশাল গ্রন্থে উল্লেখিত প্রায় বারো শাতাধিক হাদীসের উদ্ধৃতি সূত্রসমূহ যাচাই বাছাই বিশুদ্ধতা নির্ণয় করেছেন নিন্ম বর্ণিত একদল বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন যাঁদের নিকট লেখক অত্যন্ত কৃতজ্ঞ :

* মুফতী মাওলানা আবদুল মালেক

মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা

* ........... ’’

দেখে অত্যমত্ম আনন্দিত হলাম যে, কুরআন-হাদীসের আলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর সুন্দর একটি কাজ হয়েছে। আসলেই যার অভাব অন্তত বাংলা ভাষাভাষীরা অনুভব করে আসছিল। এজন্য লেখককে শুকরিয়া। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

আরো খুশি হলাম বইয়ে উল্লেখিত হাদীসগুলোর মান যাচাইসহ সার্বিক কাজ হযরতের হাতে হয়েছে জেনে। হযরতের হাতে ধরনের কাজ হবে এটাই আমাদের একান্ত কামনা। আল্লাহ তাআলা হযরতের মাধ্যমে দ্বীনের আরো বেশি খেদমত নিবেন। আমীন।

তবে বইয়ের বেশ কিছু হাদীসের উদ্ধৃতিতে দেখলাম, রেওয়ায়েতের হুকুমের ক্ষেত্রে লেখা হয়েছে, ‘মওযু’, কোথাও লেখা হয়েছেশাদীদ যয়ীফ’, কোথাওমুরসাল’, আবার কোথাও লেখা হয়েছেহাসান যয়ীফ এতে বইটি আপনি দেখে দিয়েছেন, ব্যাপারে আমাদের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হল। কারণ, মওযু শাদীদ যয়ীফ কীভাবে আপনি বইটিতে থাকতে দিবেন? আর হাসান পরিভাষার সাথে যয়ীফ শব্দ যুক্ত হয়ে ব্যবহার তো নতুন শুনলাম। তাই হুজুরের শরণাপন্ন হলাম, আশা করি বিস্তারিত জানিয়ে আমাদের সন্দেহ দূর করবেন।

ফয়জুল করীম মুনশী

ঢাকা

উত্তর :

আপনার প্রশ্নটি পাওয়ার আগেই কিতাবটি মুদ্রিত অবস্থায় আমার হাতে পৌঁছেছে। লেখক নিজে নিয়ে এসেছিলেন। তবে তার উপস্থিতিতে কিতাবটিতে নযর দেওয়ার সুযোগ আমার হয়নি। পরে যখন দেখেছি খুব কষ্ট পেয়েছি। এবং আশ্চর্য হয়েছি, মানুষ এতো বড় অনিয়ম বা নীতি-বিরুদ্ধ কাজ করে কীভাবে?

আসল ঘটনা হল, বেশ কিছুদিন আগে এই কিতাবের লেখক একদিন তার পান্ডলিপিটি নিয়ে মারকাযুদ দাওয়াহয় এলেন। উদ্দেশ্য-তার কিছু রেওয়ায়েতের হাওয়ালা সংগ্রহ করা। হাদীসের কিতাব থেকে হাওয়ালাগুলো সংগ্রহ করার জন্য তিনি মারকাযের কুতুবখানা থেকে সহায়তা নিতে চান। এরপর যদি কোনো তালিবুল ইলম ভাইও ব্যাপারে তাকে সহায়তা করেন তাহলে তিনি খুবই কৃতজ্ঞ হবেন। এটুকুই ছিল তার বক্তব্য।

একটা নীতির কথা হল,  কারো জন্য তার নিজের শাস্ত্র বা নিজের ব্যক্তিগত পড়ালেখা  জানাশোনার বাইরে অন্য বিষয়ে বা অন্য শাস্ত্রে দখল দেওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়,  নীতি মেনে চলার জন্য মানুষের অনেক হিম্মত সৎ সাহসের প্রয়োজন পড়ে।

এখন যেহেতু একজন মানুষ সংকল্প করে বসে আছেন যে, এই বিষয়ে তিনি কাজ করবেনই, তখন অন্তত যেন জাল, ভিত্তিহীন বা মুনকার কোন বর্ণনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস এবং চিকিৎসা বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো বক্তব্য হিসাবে প্রকাশিত না হয় সেজন্য হাদীস রেওয়ায়েতের ব্যাপারে তাকে সহায়তা করা উচিত বলে মনে হল।

তাই আত তাখাসসুস ফী উলূমিল হাদীসিশ শারীফ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৪৩৪ হি.) জন ছাত্রকে আমি অনুরোধ করলাম যেন তারা এই রেওয়ায়েতগুলোর হাওয়ালা বের করে দেয় এবং যেসকল রেওয়ায়েত মুনকার বা মাতরূহ হওয়ার কারণে খুবই দুর্বল কিংবা একেবারেই ভিত্তিহীন বা জাল সেগুলোও চিহ্নিত করে দেয়। যাতে মূল কিতাবে  সেগুলো না আসে। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই দায়িত্ব পালন করেছে।

এরপর লেখকের খুব জোরালো আবদার হল, বইটির জন্য একটি তাকরীয বা অভিমত লেখা হোক। এক্ষেত্রে প্রথম কথা তো হল, আমি তাকরীয লেখা থেকে সবসময়ই বেuঁচ থাকার চেষ্টা করি। দ্বিতীয়ত তাকরীয লেখার জন্য পুরো কিতাব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়া জরুরি। সেজন্য যে পরিমাণ সময় প্রয়োজন আমার কাছে সেই পরিমাণ সময়ও নেই। তৃতীয়ত তাকরীয লেখার জন্য বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি যে, কেউ তাকরীয লিখলে তার সামনে বইটি যেভাবে পেশ করা হয় ঠিক সেভাবেই যেন ছাপা হয়। তাকরীয লেখার পর আর কোন রদ বদল না হয়। বইয়ের ক্ষেত্রে সেই নিশ্চয়তা পাওয়া আমার জন্য দুরূহ ব্যাপার। অতএব আর তাকরীয লেখা হল না।

এখন তার দাবিআপনি আপনার নাম উলেস্নখ করার অনুমতি দিন যে, আপনি আপনার তত্ত্বাবধানে বইয়ের হাদীসগুলো যাচাই বাছাই করে দিয়েছেন। যেহেতু আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল যে, ক্ষেত্রে যেসকল নির্দেশনা  পরামর্শ পেশ করা হয় সাধারণত সেগুলোর উপর আমল করা হয় না। কোনো রেওয়ায়েত উল্লেখ করতে নিষেধ করা হয়, কিন্তু তারপরও তা উল্লেখ করা হয়। কোনো ইবারত পরিবর্তন করতে বলা হয়, কিন্তু তা পরিবর্তন না করেই রেখে দেওয়া হয়। সেজন্য আমি নাম উল্লেখ করবার অনুমতি দেইনি।

তাছাড়া বিশেষ করে কারণেও অনুমতি দেইনি যে, মানুষ কোনো না কোনোভাবে নাম এসে গেলেই মনে করে, তিনি পুরো বইটিকেই সত্যায়ন করেছেন। এসব কারণ থাকায় খুব জোরালো অনুরোধের পরও শেষ পর্যন্ত আমি নাম দিতে নিষেধই করেছি। হল মূল ঘটনা।

কিন্তু তিনি যা করেছেন সেটি ছিল এরকম-

. বইয়ে এমন অনেক রেওয়ায়েত এবং এমন অনেক উদ্ধৃতি উলেস্নখ করেছেন যেগুলো আমাদের ছাত্রদের সামনে পেশই করা হয়নি।

. যেসকল রেওয়ায়েত খুব দুর্বল (মুনকার বা মাতরূহ) অথবা জাল বা ভিত্তিহীন হওয়ার কারণে বইয়ে না দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তিনি সেগুলোর অধিকাংশ রেওয়ায়েত যেমন ছিল ঠিক তেমনি রেখে দিয়েছেন। তবে কোথাওশাদীদ যয়ীফবা খুব দুর্বল বা জাল হওয়ার কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন, আর কোথাও কিছু উল্লেখ করা ছাড়াই আগের মত রেখে দিয়েছেন। এছাড়া যেখানে খুব দুর্বল বা জাল হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন সেখানেও স্বাভাবিক উপস্থাপন ভঙ্গি ছিল অনেকটা এরকম -জাল হলেই কি, এটাও তো হাদীসই!

. উপরোক্ত দুই কাজের পর বইটিতে লেখা হয়েছেমুফতী মাওলানা আবদুল মালেক। সাথে সাথে দাবিও করা হয়েছে যে, তিনি উদ্ধৃতি সূত্রসমূহ যাচাই বাছাই বিশুদ্ধতা নির্ণয় করে দিয়েছেন। আমার জানা নেই, হাদীসের সহী-যয়ীফ নির্ণয় করামুফতী কাজ কবে থেকে হল?

তাছাড়া কাজ তো করেছে কয়েকজন তালিবুল ইলম ভাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেই কাজের সাথে আমার কোনো সম্পর্কই ছিল না। কেবল এটুকু সত্য যে, আমিই ছাত্রদেরকে কাজটি করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।

বাস্তবতাকে সামনে রেখে এবার আপনিই বলুন, বইয়ে অধমের নাম দেওয়া জায়েয হয়েছে?!

আমি পরিষ্কার শব্দে বলছি, লেখকের দাবি থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত। এরপর সেখানে যেসব মুনকার জাল এবং ভিত্তিহীন বর্ণনা রয়েছে তা থেকে আমি, আমাদের প্রতিষ্ঠান (মারকাযুদ দাওয়াহ) এবং আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা মুক্ত। নামের ভুল ব্যবহারের কারণে যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য আমরা দুঃখিত। আর মন্দ আচরণের কারণে আমাদের খুব কষ্ট হয়েছে।

আমার বুঝে আসে না, যেখানে কোনো সঠিক বিষয়েই অনুমতি ছাড়া কারো নাম ব্যবহার করা শরাফতের খেলাফ বা ভদ্রতা বিবর্জিত কাজ সেখানে গলদ তরীকায় গলদ জিনিসের উপর আমরা কীভাবে কারো নামকে ব্যবহার করি?! আর বিষয়টি তো কেবল শরাফাত আর ভদ্রতার নয়, বিষয়টি আমানত দিয়ানতেরও। বিশেষভাবে এরকম অবহেলা যদি হয় হাদীস সুন্নাহর ক্ষেত্রে, তখন?

এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাচ্ছি, তা হল, বইয়ে রেওয়ায়েতের হাওয়ালা উপস্থাপন বিন্যাসে যে অসঙ্গতি এবং ফন্নে তাখরীজ এর নিয়ম নীতির যে অসামঞ্জস্য, এমনিভাবে পরিভাষাসমূহের যে ভুল আজীব গরীব ব্যবহার দেখা যায় এসবই গাইরে ফন বা এক শাস্ত্রের মানুষ অন্য শাস্ত্রে

হস্তক্ষেপের ন্যূনতন পরিণতি। ইলমে হাদীসের সাথে সম্পর্ক রাখে এমন কোনো তালিবুল ইলমের কাজেও ইনশাআল্লাহ ধরনের কিছু দেখা যাবে না। সুতরাং এই বইয়ে সেরকম কিছু আপনার দৃষ্টিগোচর হলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। আমি এখানে এমন দুটি উদাহরণ উল্লেখ করছি। যাতে অসঙ্গতির ধরন ঐসব অসঙ্গতির চেয়েও বেশি কঠিন।

. বইটির ২৪৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তরেমেহেদি সম্পর্কে বলতে গিয়ে হযরত আবু রাফেরা.-এর সূত্রে একটি রেওয়ায়েত দুইবার উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে রেওয়ায়েতের প্রথম অংশ। এরপর পুরো রেওয়ায়েত। সেখানে বলা হয়েছে, হাদীস দুটি নাসায়ী শরীফে আছে, এমনিভাবে আবু নুয়াইম এবং সূয়ূতী রাহ.-এর কিতাবেও আছে।

উদ্ধৃতিতে নাসায়ীর ৫০৭৮- ৫০৮২ নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ রেওয়ায়েতটি নাসায়ীর না এই নম্বরে আছে না অন্য কোনো নম্বরে আছে।

নাসায়ীতে যে হাদীস আছে তা হযরত আবু যর রা.-এর সূত্রে। এবং তার মূল পাঠ হল-

إن أحسن ما غيرتم به الشيب الحناء والكتم

অর্থ, তোমাদের বার্ধক্যজনিত সাদা চুল পরিবর্তন করার উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে মেহেদি এবং কাতামের রং লাগানো।

তিনি হযরত আবু রাফেরা.-এর নামে যে রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন তা কোনভাবেই নাসায়ীতে নেই। তবে আবু নুয়াইম রাহ.-এর কিতাবে আছে। কিন্তু তার সনদে মুআম্মার ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদুল্লাহ ইবনে আবী রাফে নামের  একজন রাবী আছেন এবং তার উপরই রেওয়ায়েতের ভিত্তি। আর হাদীসের ইমামগণমুআম্মারকে বলেছেন মুনকারুল হাদীস। অর্থাৎ সে মুনকার রেওয়ায়েত বর্ণনা করত। (আল কামিল ফী যুয়াফাইর রিজাল, - , পৃষ্ঠা ৪৫০-৪৫১; কিতাবুল জারহি ওয়াততাদীল, ইবনে আবী হাতেম //৩৭৩)

যেহেতু রেওয়ায়েতটি মুনকার। সেজন্য আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা তাকে বলেছে যে, রেওয়ায়েতকে  উল্লেখ করবেন না। কিন্তু তিনি এক তো তা উল্লেখ করেছেন এরপর আবার উল্টো উদ্ধৃতি দিয়েছেন নাসায়ীর। যে উদ্ধৃতির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এমন যুলুমের ব্যাপারে আমি কী বলতে পারি!

তাই আমি পরিষ্কার ভাষায় বলছি, এজাতীয় মুনকার রেওয়ায়েতের না আমরা কোনো যিম্মাদার আর না এজাতীয় উদ্ধৃতির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক রয়েছে!

. বইটির ১৯৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে আবু নুয়াইম এবং সুয়ূতী রাহ.-এর উদ্ধৃতিতে একটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন এবং বইয়ের শেষে উদ্ধৃতি-তালিকায় লিখেছেন, এটি যয়ীফ। অথচ বাস্তবে তা কেবলযয়ীফইনয় বরং সুস্পষ্ট মওযু বা জাল বর্ণনা। স্বয়ং সুয়ূতী রাহ. রেওয়ায়েতটিকে তাঁর জাল বর্ণনা বিষয়ক কিতাবযাইলুল লাআলিল মাসনূআ ফিল আহাদীসিল মওযূআয় (/৭১৪) উল্লেখ করেছেন এবং সেখানে তিনি বলেছেন, রেওয়ায়েতের মুহাম্মাদ ইবনে উক্কাশাহ হল কাযযাব বা মিথ্যুক এবং হাদীস জালকারী প্রসিদ্ধ ব্যক্তিদের একজন।

এমনিভাবে সুয়ূতী রাহ. তাঁর লিখিতআল হাভী ফিল ফাতাভী’ (/২০০-২০৮) গ্রন্থেরআদদুররাতুত তাজিয়া আলাল আসইলাতিন নাজিয়ানামক রিসালায় রেওয়ায়েতটিকে আবু নুআইম রহ. -এর সূত্রে উল্লেখ করার পর অন্য আরো কিছু রেওয়ায়েতের সাথে  রেওয়ায়েতটিকেও মিলিয়ে একসাথে বলেছেন যে, রেওয়ায়েতগুলো বাতিল হওয়া নিশ্চিত। এরপর হাদীসের একজন ইমাম, বুরহানুদ্দীন নাজী রাহ. থেকেও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি এগুলোকে বাতিল বলেছেন।

অতএব একটু ভেবে দেখুন, এজাতীয় রেওয়ায়েতকে শুধু যয়ীফ বলা কি ঠিক?!

ছাত্র ভাইয়েরা তাকে রেওয়ায়েতটি উল্লেখ না করতে বলেছে। কিন্তু তা তো বইয়ে দিব্যি উল্লেখ আছে, বুঝা গেল, তিনি ছাত্রদের একথাও রক্ষা করেননি।

যাইহোক, এই উত্তরপত্রে বইটির

বিস্তারিত পর্যালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য নয় এবং জন্য পর্যাপ্ত সময় সুযোগও আমার নেই। আমার উদ্দেশ্য কেবল কথা পরিষ্কার করা যে, এখানে আমার নাম সম্বন্ধের গলদ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং বইয়ে যতো মুনকার, মাতরূহ ভিত্তিহীন এবং মওযূ বা জাল রেওয়ায়েত উল্লেখ হয়েছে তা থেকে আমরা মুক্ত।

আরজগুযার

বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

প্রধান, আততাখাসসুস ফী উলূমিল হাদীসিশ শারীফ বিভাগ

মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা

১৬.০১.১৪৩৫ হিজরী

 

 

advertisement